বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ২৬,৬৯৭ কোটি টাকা এই দেশের প্রায় ৯ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে আছে, যেগুলি গত ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে হাত পড়েনি। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এই পরিসংখ্যানগুলি প্রকাশ করা ৩১ শে ডিসেম্বর ২০২০ সাল অবধি হিসাব অনুযায়ী। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বলেছিলেন, ৩১ শে মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত, এই ধরনের জমাবন্দি অ্যাকাউন্ট এবং NBFC-সংযুক্ত অ্যাকাউন্টের সংখ্যা যথাক্রমে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৭১ লক্ষ এবং এই অ্যাকাউন্ট গুলি থেকে সাত বছর ধরে কোনও টাকা লেনদেন করা হয়নি।
আরবিআই এর তরফ থেকে ব্যাঙ্কগুলিকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিষেবার অযোগ্য অ্যাকাউন্টগুলির জন্য বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টধারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে লিখিতভাবে জানিয়ে তাদের লেনদেন না করার কারণ জানতেও নির্দেশও দেওয়া রয়েছে। ব্যাঙ্কগুলি, চাইলে দুই বছর ধরে ব্যবহার করা হয়নি এমন অ্যাকাউন্টের ধারক বা তাদের আইনি উত্তরাধিকারীদের খুঁজে বের করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। একই সঙ্গে ব্যাঙ্কগুলিকে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে অব্যবহৃত অ্যাকাউন্ট, অ্যাকাউন্টধারীদের নাম ও ঠিকানা ওয়েবসাইটে আপলোড করতে বলা হয়েছে।
ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ফান্ড স্কিমের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে ব্যাঙ্কগুলি চাইলে এই তহবিলে জমে থাকা অর্থ এবং তাদের সুদ স্থানান্তর করতে পারে। যে পরিমাণ অ্যাকাউন্ট ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা হয়নি তা বাকি আমানতকারীদের স্বার্থ ও সচেতনতায় ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, যদি পরবর্তীতে কোন গ্রাহক তার এই তহবিলে পাঠানো অর্থের জন্য প্রশ্ন তোলেন, তাহলে তার ব্যাঙ্ককে সুদের সাথে টাকা ফেরত দিতে হবে।
সরকার সংসদে বলেছে, পুলিশ ও রাজনীতিবিদদের ঋণ দিতে ব্যাঙ্কগুলির সমস্যা রয়েছে। তবে পুলিশসহ নির্দিষ্ট শ্রেণির গ্রাহকদের ঋণ না দিতে সরকারিভাবে কোনও নির্দেশনা জারি করা হয়নি। অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কারাদ রাজ্যসভায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে ব্যাঙ্কের ঋণ না দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এই একই তথ্য দিয়েছেন।
অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, কেন্দ্র পুলিশ সদস্যদের মতো সংবেদনশীল গ্রাহকদের ঋণ না দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশ জারি করেনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট শ্রেণীর গ্রাহকদের ঋণ না দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়ার কোনো সরকারি নীতি নেই।