বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই শিরোনামে রয়েছে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির থ্রেট কালচার। নানান মেডিক্যাল কলেজের বহু ডাক্তারি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এর অভিযোগ উঠেছে। থ্রেট কালচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে আরজি করের ৫১ জন পড়ুয়াকে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষও থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নেয়। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি জল গড়াতেই এল বড় নির্দেশ।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন থ্রেট কালচারে অভিযুক্তরা
গত সেপ্টেম্বর মাসে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের (Burdwan Medical College & Hospital) ৭ জন ইন্টার্ন ও পিজিটি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ আনেন সেখানকারই বেশ কয়েকজন ছাত্রী। এহেন অভিযোগ উঠতেই তদন্ত শুরু করে কলেজ কাউন্সিল। জরুরি বৈঠকে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর ৭ জন ডাক্তারি পড়ুয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা হয়। এবার তাঁদের ক্লাস করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট।
থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের সাসপেনশনের পাশাপাশি হস্টেলে প্রবেশও নিষিদ্ধ করেছিল কলেজ কাউন্সিল। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। দুঁদে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের হয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সওয়াল করেছিলেন। তিনি বলেন, র্যাগিংয়ে ঠিক কী অভিযোগ সেটা জানানো হয়নি। কলেজ কাউন্সিল একতরফাভাবে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত কীভাবে নিতে পারে? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতিকে দশ গোল! ২০০ কোটির বেশি দুর্নীতি আর জি করে! সন্দীপের লাভ কত? পর্দাফাঁস করল CBI
শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলা উঠেছিল। তিনি অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলেন, থ্রেট কালচারে (Threat Culture) অভিযুক্ত ৭ ডাক্তারি পড়ুয়া আপাতত ক্লাস করতে পারবেন। সেটা করতে গিয়ে যদি তাঁরা কোনও বাধার সম্মুখীন হন, তাহলে তাঁরা স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হতেন পারেন। তবে এখনই হস্টেলে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ নভেম্বর।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। এই নিয়ে আরজি কর হাসপাতালের ৫১ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করেছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে পরবর্তীতে তাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রেও থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের সাসপেনশন স্থগিত করে দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তাঁরা ক্লাস করতে পারবেন, জানিয়ে দিল আদালত।