‘এই নাটক বন্ধ কর, নাহলে বোমা দিয়ে মঞ্চ উড়িয়ে দেব’, ধর্মতলায় DA অনশনমঞ্চে হুমকি পোস্টার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (DA) ইস্যুতে ধুন্ধুমার রাজ্যে। বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে অনশন আন্দোলনে নেমেছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। এরই মাঝে ডিএ আন্দোলনে ভয়ের বাতাবরণ। ধর্মতলায় (Dharmatala) অনশনকারীদের মঞ্চে মিলেছে একটি হুমকি পোস্টার (Threatening Poster), যাতে লেখা – বোমা (Bomb) মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে মঞ্চ। তবে কে বা কারা হুমকির পোস্টার দিয়েছে, সেই বিষয় এখনও স্পষ্ট নয়।

সোমবার সকালে এই পোস্টার পাওয়া মাত্রই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অনশনকারীরা। তাদের কথায়, এসব হুমকি পোস্টার দিয়েও আন্দোলন থামানো যাবে না। কোনো কর্মীই আন্দোলন থেকে পিছু হঠছেন না বলে জানিয়েছেন। যতদিন বকেয়া আদায় না হচ্ছে ততদিন এই আন্দোলন চলবে বলেই শপথ নিয়েছেন তারা। পাশাপাশি অনশন মঞ্চ থেকেও কেউ সরে আসবেন না।

প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে শহিদ মিনারের মঞ্চে অনশন আন্দোলনে বসেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আন্দোলন অন্য আকার ধারণ করে গত ১০ মার্চ। রাজ্যেজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। বনধের দিন পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে প্রায় যুদ্ধ বেঁধে যায়। বঙ্গ জুড়ে ধর্মঘটের পরিকল্পনা থাকলেও সরকার ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের দরুন তা সম্পূর্ণরূপে সফল হয়নি।

da protest

এই আন্দোলন নিয়ে একাধিকবার শাসকদলের একাধিক নেতা মন্ত্রীদের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে সোমবার সকালে হঠাৎ শহিদ মিনারের মঞ্চে হুমকি পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় যেন আন্দোলনের উত্তাপ আরও কিছুটা বাড়লো। উল্লেখ্য, হুমকির পোস্টারটি হাতে লেখা। লাল, নীল, সবুজ কালিতে লেখা হয়েছে – ”এই নাটক বন্ধ কর, নাহলে বম্ব দিয়ে মঞ্চ উড়িয়ে দেব।”

রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে কে বা কারা এই হুমকির পোস্টার দিল তা এখনও জানা যায়নি। তবে, আন্দোলনকারীদের একাংশের অভিযোগ, এর নেপথ্যে শাসকদলের (Trinamool Congress) হেভিওয়েট কোনো নেতার হাত রয়েছে। তার সাথে আগের একটি ঘটনারও যোগসূত্র খুঁজে বের করেছে আন্দোলনকারীদের একাংশ। উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ডিএ আন্দোলনকারীদের অনশনকে ‘নাটক’ এর তকমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এখানেই তাদের অনেকের সন্দেহ হুমকির পোস্টারের পেছনে ফিরহাদ হাকিমের হাত রয়েছে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর