এবার শেয়ার বাজারে লাভের শীর্ষে পৌঁছল আদানির তিনটি সংস্থা! এই “মন্ত্রে” এল বড়সড় সাফল্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research) আদানি গ্রূপের (Adani Group) প্রসঙ্গে একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এনেছিল। এদিকে, ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই রীতিমতো নড়ে যায় আদানি সাম্রাজ্যের ভিত। এমনকি, আদানি গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার শেয়ারেও ধস নেমেছিল। প্রায় ৯ লক্ষ ৯২ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা খুইয়ে ফেলেছিল আদানির মালিকাধীন শিল্পগোষ্ঠী। যার ফলে মোট সম্পদের পরিমান হ্রাস পায় ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির (Gautam Adani)।

তবে, চলতি মাসের প্রথম থেকেই পরিস্থিতির বদল ঘটেছে। পাশাপাশি, আদানিদের একাধিক সংস্থাই ধীরে ধীরে লাভের মুখ দেখতেও শুরু করেছে। এদিকে, শেয়ার বাজারেও বন্ধ হয়েছে “রক্তক্ষরণ”। এমতাবস্থায়, জানা গিয়েছে গৌতম আদানির মালিকানাধীন তিনটি সংস্থা লাভের নিরিখে চলে এসেছে এক্কেবারে প্রথম সারিতে।

শেয়ার সূচক সেনসেক্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি গ্যাস এবং আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ারে উল্লেখযোগ্যভাবে উত্থান ঘটেছে। যার ফলে, লাভের তালিকাতেও প্রথম সারিতে রয়েছে এই শেয়ারগুলি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, শেয়ার বাজারে বিপুল বিপর্যয়ের মুখেও গত মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শুরুতেই আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ৬০ হাজার শেয়ার এবং আদানি ট্রান্সমিশন লিমিটেডের ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৭০ হাজার শেয়ার বাজারে আনা হয়েছিল।

এদিকে, শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই সময়ে নিজেদের অর্থনৈতিক ভাবে সবল দেখাতে এবং শেয়ারের দরের নিম্নমুখী আবহকে সামলাতেই আদানি গ্রূপের তরফে নেওয়া হয়েছিল এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি অতীতে ওই শেয়ারগুলির পরিবর্তে বাজার থেকে টাকা ঋণ নিয়েছিল আদানি গ্রূপ। যে ঋণ পরিশোধের সময় ছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যম্ত। তবে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতেই সেই বকেয়া টাকা আগাম মিটিয়ে দেয় আদানি গোষ্ঠী।

gautam adani loan

এমতাবস্থায়, বাজারে ওই শেয়ারগুলি নিয়ে এসেই তারা বিপুল লাভ অর্জন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় গৌতম আদানি রয়েছেন ২১ নম্বর স্থানে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারস ইনডেক্স অনুযায়ী জানা গিয়েছে, তাঁর মোট সম্পদের পরিমান হল ৫৯.৮ বিলিয়ন ডলার।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর