বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাত্র কিছুক্ষণের কালবৈশাখী আর তাতেই তছনছ সবটুকু। রবিবার রাতে কোচবিহারে মিনিট ২০-২৫ এর কালবৈশাখী ঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকা। ভেঙে পড়েছে অগণিত বাড়ি। উলটে পড়ে রয়েছে গাছ, বিদ্যুৎতের খুঁটি। বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন গোটা এলাকা। এখনও অবধি ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার রাত তখন গভীর হয়নি মোটেই। সন্ধ্যে নাগাদই শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডব। মাত্র কিছুক্ষণের ঝড়েই নেমে আসে চরম বিপর্যয়। কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লকের টাপুরহাট মোয়ামারী, চান্দামারী প্রভৃতি এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অগুণতি বাড়ি, গাছপালা, জাতীয় সড়কের উপর ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের ইলেকট্রিকের লাইন।
কোথাও ধসে পড়েছে বাড়ির ছাদ, কোথাও আবার কোনও কিছুরই অস্তিত্ব আর বাকি নেই। ভয়াবহ এই ঘটনায় এখনও অবধি প্রাণ হারিয়ছেন ৩ জন। গাছ এবং বাড়ি ভেঙে পড়ে আহত বহু। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। মৃতের সংখ্যা আরও বেশ কিছু বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনার জেরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। কবে আসবে বিদ্যুৎ কিছুই বলা সম্ভব নয়। সোমবার সকাল হতেই স্পষ্ট হয়েছে ভয়াবহতার ছবিটা। চারিদিকে শুধুই হাহাকার আর সর্বস্রান্ত হওয়ার কান্না। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, এলাকায় কয়েক হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উড়ে গিয়েছে স্কুলবাড়ির গোটা ছাদই। ওই এলাকার অবস্থা ভয়াবহ বলেই দাবি করেছেন তিনি।
সর্বস্ব হারিয়ে আপাতত খোলা আকাশের নীচেই এসে দাঁড়িয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। আহতও হয়েছেন বহু। আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের একটাই দাবি, যে কোনও উপায়ে তাঁদের মাথার উপর একটা ছাদের ব্যবস্থা অন্তত করে দিক প্রশাসন। যদিও এদিন সকাল অবধিও প্রশাসনের তরফে কোনও সহায়তা পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।