বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটানা সাতদিন বন দপ্তরের কর্মীদের আপ্রাণ চেষ্টার পর অবশেষে গোসাইডিহিতে খাঁচায় বন্দি হয়েছে জিনাত (Tigress Jinat)। সাত দিনের লড়াই শেষে অবশেষে খাঁচায় বন্দী হয় সে। ২৯ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ার গোসাইডিহির জঙ্গলে অবশেষে বাগে পাওয়া যায় ওড়িশার সিমলিপালের বাঘিনী জিনাতকে। আপাতত সে রয়েছে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। সেখানে আপাতত কিছুদিন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে জিনাতকে। তারপর তাকে ফেরানো হবে তার ঘর সিমলিপালে।
জিনাতকে (Tigress Jinat) খাঁচায় বন্দি করতে মোট কত খরচ হল রাজ্যের?
বনদপ্তর সূত্রে খবর প্রায় ২০০ জনের টিম মিলে দিন রাত এক করে ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে সিমলিপালের জিনাতকে (Tigress Jinat) খাঁচা বন্দি করেছে। যদিও এক গুলিতে বাগে আসেনি সে। ২৮ ডিসেম্বর শনিবার রাতে প্রথম দেখা মিলেছিল তার। তখন থেকে একটু একটু করে শুরু হয় বাঘ বন্দির খেলা। বনদপ্তরের কর্তারা অবশ্য বলছেন পুরুলিয়ার ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া মিলিয়ে এই দলে প্রায় ২০০ জনের বেশি মানুষ নিযুক্ত ছিলেন।
এই টিমে প্রায় ২০০-র বেশি মানুষ যুক্ত ছিলেন। বন দপ্তরের পদস্থ কর্তা থেকে রেঞ্জ অফিসে থাকা বনকর্মী, হুলা পাটির সদস্যরাও সেই কাজে ছিলেন। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার একাধিক ডিভিশনের DFO, ADFO, বিট, রেঞ্জ অফিসার-কর্মী এই কাজে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন। একটা অংশ যখন বাঘ ধরার কাজে পুরোপুরি যুক্ত ছিল, তখন অন্য অংশ উৎসাহী ভিড় সামলালো থেকে লোকালয়ের মানুষকে নানা বিষয়ে বোঝানোর কাজ চালিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও বিরাট কারচুপির অভিযোগ! এবার বাতিল হল নিয়োগ
আর এই কাজে ১০ দিনের খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে গাড়ির খরচ সহ একাধিক ক্ষেত্রে খরচ হয়েছেমোটা টাকা। এছাড়াও বহু শ্রমিককে জাল দিয়ে গ্রামে ফেন্সিং করানোর মতো কাজের জন্য নিতে হয়েছে তারা একাধিক শিফটে কাজ করেছিলেন। তাই এক্ষেত্রে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকার বেশি।
যদিও রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা,জানিয়েছিলেন ১৭০ জনের বেশি লোক মিলে বাঘটিকে ধরার কাজ শুরু করেছিল। প্রাথমিকভাবে এই কাজে ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। তবে জিনাতকে (Tigress Jinat) খাঁচায় বন্দি করার পর বাংলার বন কর্মীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জিনাত খাঁচা বন্দি হওয়ার পর এখন তার শুধু ঘরে ফেরার পালা।