বাংলাহান্ট ডেস্ক : ওয়াকফ সংশোধনী আইন এর বিরোধিতায় বিগত কয়েক দিন ধরে উত্তাল হয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। জেলার একাধিক জায়গায় অশান্তি ছড়ানোর খবর ভেসে আসছে। সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান এর মতো এলাকা কয়েকদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছে সংবাদ শিরোনামে। অনেক জায়গায় পুলিশ জনতা সংঘর্ষে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠেছে। এখনো পর্যন্ত অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ১৫০ জন। উপদ্রুত এলাকায় নেমেছে আধা সেনা। নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। আজ, সোমবার এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন সিআরপিএফ এর আইজি।
ওয়াকফ বিতর্কে এখনো থমথমে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)
বিগত কয়েক দিনের আতঙ্ক এখনো কাটেনি স্থানীয়দের। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অশান্তি, হিংসা ছড়ানোর খবর পাওয়া গিয়েছে। জঙ্গিপুরে অশান্তির পরিস্থিতি সামাল দিতে না দিতেই গত শুক্রবার থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে সামশেরগঞ্জ (Murshidabad)। ইঁট বৃষ্টির সঙ্গে বোমা পড়ে বলেও অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুলিশ প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নেয় স্থানীয় মসজিদে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পালটা টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। সরকারি, বেসরকারি বাস থেকে অ্যাম্বুলেন্সেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। ব্যাহত হয় সড়ক এবং রেল পরিষেবা।
আরো পড়ুন : মুখটাই বিগড়ে গিয়েছে, ফের ট্রোলড মৌনি, কতবার প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন অভিনেত্রী?
এলাকায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী: শুক্রবার রাতেই এলাকায় (Murshidabad) নামে বিএসএফ। শনিবার ফের উত্তাপ ছড়ায় ধুলিয়ানে। পুলিশ জনতা সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গে শপিং মলে চলে দেদার লুঠপাট। কোনো রকমে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। শনিবারই মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুনানিতে আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, রাজ্য পুলিশের সহায়তার জন্য সিএপিএফ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
আরো পড়ুন : বিয়ের আগেই এমন মন্তব্য! সবার সামনে ঐশ্বর্যকে কাঁদিয়ে ছাড়েন জয়া
কেমন রয়েছে সামশেরগঞ্জ-ধুলিয়ান: সেদিন রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ আইজি কর্ণি সিং শেখাওয়াত। বিভিন্ন উপদ্রুত এলাকায় নেমেছে বিএসএফ। রাস্তার মোড়ে রয়েছে পুলিশ পিকেট। অশান্তি থামলেও থমথমে হয়ে রয়েছে সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান। দোকান বাজার বন্ধ রয়েছে। যান চলাচলও আগের থেকে কম। গতকাল থেকেই সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ নথিভুক্ত করা শুরু করেছে প্রশাসন।
বিগত কয়েক দিনের আতঙ্ক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ানের মতো এলাকাগুলি। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ নজরদারিতে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে এখনো থমথমে হয়ে রয়েছে এলাকাগুলি।