বাংলা হান্ট ডেস্ক: শ্বশুর বাড়ি কবে ফিরবেন দেবী দুর্গা? বর্ধমান (Burdwan) এসে আটকা পড়ে গিয়েছেন তিনি। প্রতিনিয়ত সেখানকার বাসিন্দারাও করছেন সেবা। সেবাতে বিন্দুমাত্র ত্রুটি নেই। তবুও মা মহামায়া অসহায় বোধ করছেন। বন দপ্তরের এক নিষেধাজ্ঞায় যেনো মায়ের পায়ে বেড়ি পড়েছে। পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) আউসগ্রামের ঘটনায় অবাক সকলেই। হঠাৎ কি এমন হলো যার জন্য দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে পুজো চলছে?
পিতৃপক্ষের অবসান হয় মহালয়ার দিন। তারপরই স্বপরিবারে মর্ত্যালোকে আবির্ভূত হন। পাঁচ দিন ধরে ধুমধাম করে চলে পুজো, আরতি। এই সময়টাও বাঙ্গালীদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আর এই একই আনন্দে মেতে ওঠে বাংলার জঙ্গল আবৃত পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) আউশগ্রামের সুকান্তপল্লী। সেখানকার গ্রামের মন্দিরে ঘটা করে দেবী দশভূজার পুজোপাঠের আয়োজন হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বিসর্জন হয়নি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে বনদফতরের নিষেধাজ্ঞা। এমনকি নবনির্মিত দুর্গা মন্দির সুরক্ষা কথার ভেবেই দেবী দুর্গাকে মন্দিরে আটকে রেখেছেন গ্রামবাসীরা
ঠিক কি ঘটেছে আউশ গ্রামে:
জানা যায়, বর্ধমানের (Burdwan) সুকান্তপল্লীর পুজো ১৪ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনদপ্তরের অধীনে জায়গাতে করে আসছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। আর মাত্র চার বছর আগেই, সেখানে এটি মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পুজোর উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এ বছর দুর্গাপুজোর আগে মন্দিরের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়। তবে হঠাৎ করেই মন্দির নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে বনদপ্তর কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন : নিয়মিত গিজার চালান? অবশ্যই মেনে চলুন এইসব নিয়ম! নাহলেই ব্লাস্ট হতে পারে যেকোন সময়
পূজোর উদ্যোক্তাদের দাবি, বাইরের কিছু দাপুটে ব্যক্তিদের ইশারায় এমন কাজ করছেন তারা। এরপর থেকেই দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে তাদের নবনির্মিত মন্দির নাকি ভেঙে ফেলা হবে। আর এই আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা এখনো দেবীকে মন্দিরেই আটকে রেখে দিয়েছেন। বিগত দেড় মাস ধরে দেবীর নিত্য সেবা চলছে শুধুমাত্র মন্দির রক্ষার জন্য।
আরো পড়ুন : মাত্র ১ দিনেই হল সর্বনাশ! লাফিয়ে কমল আদানির সম্পত্তির পরিমাণ, পিছিয়ে পড়লেন ধনকুবেরদের তালিকায়
এ ব্যাপারে জেলার বনাধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা বলেন, “মন্দির নির্মাণ নিয়ে আগে একটা রেজিলউশন হয়েছিল। তবে ওই রেজিলিউশনের বহু লোক বিপক্ষে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে অনেক কমপ্লেনও আসে। এসব কারণে মন্দিরের পরবর্তী নির্মাণ কাজ এখন স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। সব পক্ষের সন্মতি না মিললে বন দফতরের জায়গায় কোনও নির্মাণ হলে তা অবৈধ নির্মাণ বলে গণ্য হবে।” এমনটাই জানান তিনি। তবে এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে , কবে এই সমস্যার জট কাটবে।