বাংলাহান্ট ডেস্ক: নারী মানেই তাকে হতে হবে ঝকঝকে তকতকে। রূপকথার গল্পের মতো এখন আর কুঁচবরণ কন্যের মেঘবরণ কেশের দাবি না থাকলেও নারী সৌন্দর্য মানেই যে রূপকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয় তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অবশ্য যুগ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে সমাজের এই ‘বস্তাপচা’ ধ্যান ধারনার মূলে আঘাত হানার চেষ্টা করেছেন অনেক তারকাই। এবার তালিকায় নাম লেখালেন তিলোত্তমা সোম (tillotama shome)।
অভিনেত্রীদের সবসময় সুন্দর, আবেদনময়ী দেখানোর একটা প্রয়োজনীয়তা থাকে। আর তাতে যদি একটু পান থেকে চুনও খসে তাহলেই শুরু হয় সমালোচনা। সমাজের চোখ রাঙানির কথা মাথায় রেখেও তিলোত্তমা যে কাজটা করেছেন তাতে তাঁকে কুর্নিশ জানাতেই হয়।
কী করেছেন বাংলার এই মেয়ে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বাহুমূলের কেশ দেখিয়ে ছবি শেয়ার করেছেন। আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টা তেমন আহামরি কিছু না হলেও এই ‘দুঃসাহস’ এর জন্যই ট্রোল শুরু হয়ে গিয়েছে নেটমাধ্যমে। ছবিতে দুহাত মাথার পিছনে তুলে ধরে শীতের রোদ পোহাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
তাঁর কালো টিউব টপে ইংরেজিতে লেখা, ‘ক্ষমাপ্রার্থী নই’। সঙ্গে ক্যাপশনে একটি বড়সড় বার্তা দিয়েছেন তিলোত্তমা। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বাহুমূলের চুল দেখানোর জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী নন। তাঁর ইচ্ছা হয়েছে তাই তিনি রেখেছেন। মোদ্দা কথা, যখন ইচ্ছা হয় তখন রাখেন। খর যখন ইচ্ছা হয় না তখন পরিস্কার করে ফেলেন। সবটাই নিজের মনের উপর, বক্তব্য অভিনেত্রীর।
কমেন্ট বক্সে যথারীতি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নেটনাগরিকরা। একজন তাঁকে বগলের চুল কাটার পরামর্শ দিয়েছেন। একজন আবার জিজ্ঞাসা করেছেন, কাটার জন্য যন্ত্রপাতি তিনি পাঠিয়ে দেবেন কিনা। তবে নেতিবাচকতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে প্রশংসা। বন্ধুবান্ধব, অনুরাগীদের থেকেও বাহবা কুড়িয়েছেন তিলোত্তমা।
https://www.instagram.com/p/CY5lWfjNWAz/?utm_medium=copy_link
তবে তিলোত্তমা একা নন। বলিউড তথা হলিউডেও এমন ‘সাহসী’ কাজ করেছেন একাধিক অভিনেত্রী। বলিউডে নাম রয়েছে কালকি, মালাইকা অরোরার। হলিউডে সম্প্রতি ম্যাডোনা কন্যার বাহুমূলের কেশ শো অফ করা ছবি ঝড় তুলেছিল ইন্টারনেটে। প্রসঙ্গত, মনসুন ওয়েডিং ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিলোত্তমা। এরপর কিস্সা, এ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ, স্যার ছবিতেও তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে।