সাক্ষ্যই নেওয়া হয়নি! CBI তদন্তে প্রশ্ন তুলে এবার সুপ্রিম কোর্টের পথে তিলোত্তমার বাবা-মা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্যালেন্ডারের হিসাবে দেখতে দেখতে শেষ ২০২৪ সাল। প্রায় ৫ মাস পরেও অধারা আরজিকরের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের ন্যায় বিচার। গত বছরের ৯ আগস্ট আরজিকর হাসপাতালে ঘটে গিয়েছিল এক নির্মম ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড। এই মামলায় মেয়ের বিচার চেয়ে এখনও  আদালতের দরজায় দরজায় ঘুরতে হচ্ছে তিলোত্তমার বাবা-মাকে। শুরু থেকেই এই আরজিকর কাণ্ডে সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া  নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।

এবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাচ্ছেন তিলোত্তমার বাবা-মা

কেন্দীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি। যার জন্য ইতিমধ্যেই জামিনে মুক্তি পেয়েছে এই মামলার অন্যতম দুই অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মন্ডল। এবার এই আরজিকর কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়েই এক বড়োসড়ো প্রশ্ন তুলে দিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। এবার তাঁরা  যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দরজায়।

তিলোত্তমার বাবা-মায়ের বক্তব্য তাঁদের মেয়ের মৃত্যুর জন্য শুধুমাত্র সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় নয় দায়ী আরও অনেকে। পরিবারের আরও  দাবি তাঁদের মেয়ের মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অনেক বড় ষড়যন্ত্র। কিন্তু গোটা বিষয়টাই কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে সিবিআই। এর আগেও নতুন করে তদন্তের দাবী চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিচারাধীন থাকায় এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইনি কলকাতা হাইকোর্ট। তাই এবার সুপ্রিম কোর্টে তারা আর্জি জানাতে চলেছেন হাইকোর্টকে এই মামলা শুনতে যেন অনুমতি দেওয়া হয়।

পরিবারের আরও অভিযোগ সাক্ষীদের মধ্যে নির্যাতিতার মায়েরই স্বাক্ষ্য নেয়নি সিবিআই। তাই সিবিআই তদন্তের এমনই একাধিক ‘গ্রে এরিয়া’ তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) তুলে ধরতে চান। এর আগেও গোটা বিষয়টি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। কিন্তু সেই সময় হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন এই মামলা আদৌ তারা শুনতে পারবেন কিনা তার জন্য অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। তাই আগামী সোমবার এই বিষয়টি শীর্ষ আদালতের সামনে আনতে চলেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।

আরও পড়ুন: মমতার এক সিদ্ধান্তে বড় ‘ধাক্কা’ পর্ষদের! জলে গেল লক্ষ লক্ষ টাকা

তিলোত্তমার বাবা জানিয়েছেন, ‘সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় দোষী। কিন্তু এখনও যারা দোষী রয়েছে, যারা তথ্য-প্রমাণ লোপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট সেরকম ভাবে দেবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে’। এরপরেই কারণ জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘৯০ দিনে সিবিআই চার্জশিট জমা দিতে পারেনি। সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মন্ডলকে ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে হাইকোর্টে গিয়েছি। আর হাইকোর্টে একটা শুনানির ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে,বলে এবার সুপ্রিমকোর্টে যেতে বাধ্য হচ্ছি’।

Supreme Court

অন্যদিকে নির্যাতার পরিবারের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন,  ‘সুপ্রিম কোর্ট দেখেছে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া ঠিক ছিল, তাই আর হস্তক্ষেপ করেনি।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর