বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ অভাবনীয় জয় পেলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আজ যশস্বী জয়সওয়ালের শতরানে ভর করে ২১৩ রানের টার্গেট সেট করেছিল রাজস্থান। প্রায় অসম্ভব হয়ে যাওয়া পরিস্থিতি থেকে মুম্বাইকে জয় এনে দিলো ডেভিডের ১৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। কিন্তু ৩ বল বাকি থাকতেই দলকে জয় এনে দেন এই তারকা পিঞ্চ হিটার।
এর আগে রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংসকে এককভাবে টেনেছিলেন তরুণ ভারতীয় ওপেনার যশস্বী। আজ রাজস্থান রয়্যালস যে ২১২ রান করেছে, তার মধ্যে ৬১ বলে ১২৪ রান নিজেই করেছেন তিনি। মেরেছেন ১৬টি চার, ৮টি ছক্কা। তার দাপটের সামনে আজ সম্পূর্ণ ফিকে হয়ে গিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের যাবতীয় বোলাররা। একজনকেও আর কোনওরকম মায়া দয়া দেখাননি তিনি। আর্চার, চাওলা, মেরেডিথ প্রত্যেককেই বাউন্ডারির রাস্তা দেখিয়েছেন তিনি।
এরপর রান তাড়া করতে নেমে আজও সম্পূর্ণ ব্যর্থ বার্থ-ডে বয় রোহিত (৩)। ঈশান কিষানও আজ ছিলেন না নিজের সেরা ছন্দে। ২৩ বলে ২৮ রান করে অশ্বিনের শিকার হন তিনি। তারকা অজি অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন ২৬ বলে ৪৪ রানের একটি ভদ্রস্থ ইনিংস খেলে আউট হন, যা বেশ বড় ধাক্কা ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ভক্তদের কাছে।
এরপরে মুম্বাইকে আশা দেখাচ্ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। অসাধারণ অর্ধশতরান করে যখন তিনি ম্যাচ প্রায় রাজস্থানের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন তখন ট্রেন্ট বোল্টের বলে অভূতপূর্ব এক ক্যাচ নিয়ে তাকে ড্রেসিংরুমে ফেরান সন্দীপ শর্মা। অনেক মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ভক্তদের কাছে ম্যাচ এখানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল, কারণ তখনও জয়ের জন্য ২৬ বলে ৬১ রানের প্রয়োজন ছিল।
তিলক ভার্মার সাথে মিলে অবশ্য জয়ের আশা কিছুটা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন টিম ডেভিড। নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে রেখে প্রতিভাবান ভারতীয় তারকাকেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ করে দিচ্ছিলেন তিনি। শেষ ওভার শুরুর আগে ২১ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিলক ভার্মা। শেষ ওভারে যখন জয়ের জন্য আরও ১৭ রান প্রয়োজন, তখন সকলেই ভেবেছিলেন তিলককে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। কিন্তু তাকে সেই সুযোগই দেননি অভিজ্ঞ অজি ফিনিশার। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডারের ওভারের প্রথম ৩ ফুলটস বলকেই সীমারেখা অতিক্রম করিয়ে দিয়ে ৩ ডেলিভারি বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ করে দেন তিনি।