শাস্ত্রে বলা হয়, মানুষ যেমন কর্ম করে সেইরকম ফল পায়। কখনো কখনো পরবর্তী জন্মের পর সেই ফল পায় আবার কখনো যেই জন্মের ফল সেই জন্মেই পেয়ে যায়। বলা হচ্ছে যে কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের কর্ম ফল পাওয়ার সময় এসে গেছে। ২০১০ সালে পি চিদাম্বরম যখন এই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি মিথ্যে অভিযোগে গুজরাটের মন্ত্রী অমিত শাহ কে জেলে ঢুকিয়ে ছিলেন। যদিও অমিত শাহ সুপ্রিম কোর্ট থেকে সেই মামলার জন্য ক্লিন চিট পেয়েছিলেন। এমনকি চিদাম্বরম তখনের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও জেলে ঢোকানোর চক্রান্ত করেছিলেন বলেও শোনা গেছিল।
এখন ২০১৯ সাল আর এখন সময়ের চাকা বদলে গেছে । এখন এই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ যাকে একদিন মিথ্যে অভিযোগে পি চিদাম্বরম জেলে ঢুকিয়ে ছিলেন এবং উনাকে গুজরাট রাজ্য থেকে বের করে ছিলেন। কিছু বছর ধরে শোনা যাচ্ছে যে চিদাম্বরমের উপর অনেক লুট ও চুরির মামলা চলছে, কিন্তু তিনি বার বার নিম্ন আদালতের থেকে জামিন পেয়ে যাচ্ছিলেন। এরম ভাবে তিনি প্রায় ২০ বারেরও বেশি বার জামিন পেয়েছেন। তবে কাল অর্থাৎ ২০ আগস্ট দিল্লী হাই কোর্ট তার জামানতের আবেদন বাতিল করে দেয় ও তাকে গ্রেপ্তার করার আদেশ দেয়।
সিবিআই এর টিম যখন তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য তার দিল্লির বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়, ততক্ষণে তিনি পলাতক হয়ে গেছিলেন ও নিজের ফোনও বন্ধ করে রেখে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এখন সিবিআই অর্থাৎ অমিত শাহ চিদাম্বরমকে গ্রেপ্তার করার জন্য খুঁজছে কিন্তু তিনি পলাতক রয়েছেন। লোকজন সোশ্যাল মিডিয়ায় বলাবলি করছেন- ‘চিদাম্বরমের সাথে যা হচ্ছে সেটি তার কর্মের ফল, আর কর্মের ফল তো সবাইকে পেতেই হয়।