রক্তে কোলেস্টেরল মিশে থাকলে আমাদের পক্ষে সব সময় তা জানা সম্ভব হয় না৷ কিছু শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ কিন্তু বলে দেয় রক্তে কোলেস্টেরল রয়েছে৷ যদিও সেই লক্ষণগুলি দেখে আমরা অনেক সময় বুঝে উঠতে পারি না৷ তবে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ধরা পড়ে৷ বিষয়টিকে অত্যন্ত হাল্কা ভাবে নিলেও কোলেস্টেরলের মাত্রা রক্তে বৃদ্ধি পেলে একদিকে যেমন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে অন্যদিকে একাধিক আনুসঙ্গিক রোগের৷ তাই কোলেস্টেরলকে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়৷ তবে এই কোলেস্টেরলের সৃষ্টি কী ভাবে হয়? হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলছেন শর্করা জাতীয় খাদ্যের পরিমাণ শরীরে বেশি হলেই তা পরিণত হয় ফ্ল্যাটে এবং ফ্ল্যাট থেকে কোলেস্টেরলের সৃষ্টি হয় যা আস্তে আসে ধমনির মধ্য দিয়ে রক্তে মিশে যায়৷ যা বিভিন্ন জটিলতর রোগের জন্ম দেয়৷ তাই আমাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের জন্য কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে৷ তাই জেনে নেওয়া যাক শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের কয়েকটি উপায়-
1. শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে গেলে কোলেস্টেরল মিশে যায় রক্তে তাই টক্সিন দূর করার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে৷ নিয়ম অনুযায়ী মেপে প্রতিদিন জল খান এ ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন৷
2. তেল জাতীয় খাবার তালিকা থেকে বাদ দিন, তাঁর বদলে কম তেলযুক্ত রান্নাবান্না খাবার খাওয়া অভ্যাস করুন৷ কারণ হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে ও কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেল খাবারের তালিকা থেকে একেবারেই দূরে রাখা ভালো৷
3. প্রতিদিন দুপুরে বা সকালে খাবারের তালিকায় শাকসবজি এবং ফল রাখা আবশ্যক৷
4. যতটা পারা যায় ততটা প্যাকেটজাত খাবারকে এড়িয়ে চলাই ভাল৷ কারও হয় প্যাকেটজাত খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্যাট থাকায় আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়৷
5. প্রচুর পরিমাণে বাদাম খেতে হবে৷ বাদামে ফ্যাট থাকে এই ভয়ে যদি বাদাম না ছুঁয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন৷
6. ফাস্ট ফুডকে একেবারেই না বলুন৷ ফাস্টফুডের ফ্যাট আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক৷