রাজ্যের শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের রমরমা বেড়েছে লোকসভা নির্বাচন পর্ব ঘোষণার পর থেকেই। একে একে তৃণমূলে নেতামন্ত্রী সকলেই বিজেপিতে যোগ দিচেছেন। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন বিধায়ক থেকে কাউন্সিলররাও। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিজেপি তাঁদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ফেলেছে। এবার এক কোটি সদস্যের দিকে চোখ রাখছে গেরুযা বাহিনী। লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী বিজেপির বাংলা দখলের আশা প্রকাশ করেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সেই আশা কার্যত পূরণ হওয়ার পথে এগিয়েছে। এবার রাজ্যের শাসক শিবির ছেড়ে আট বিধায়ক যোগ দিতে চলেছেন গেরুয়া শিবিরে। এমনটাই জানালেন দিলীপ ঘোষ।
সোমবার একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন ওই আট বিধায়ক দলবদলের জন্য প্রস্তুত এবং শীঘ্রই তাঁরা বিজেপিতে নাম লেখাবেন। দিলীপ ঘোষের আট বিধায়কের কথা ঘোষনার পরই রাজ্য রাজনৈতিক অন্দরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই সেই আটজনের মধ্যে দেবশ্রী রায় ও সব্যসাচী দত্তকে দেখতে পাচ্ছেন। যদিও বাকি ছয়জন কারা তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তবে কয়েকদিন আগেই দিলীপ ঘোষ দেবশ্রীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে সবুজ সংকেত দেখিয়েছিলেন। এমনিতেই 14 আগষ্ট বিজেপির সদর দফতরে দেবশ্রীকে দেখা গিয়েছিল, তাই তার বিজেপিতে যোগদান নিশ্চিত।
এবার আসা যাক সব্যসাচী দত্তের কথায়। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলে বিজেপি নেতৃত্ব মুকুল রায় তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। যদিও বিতর্কের শুরুটা লুচি-আলুরদম থেকে। কিন্তু বিধাননগরের মেয়র পদে থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সব্যসাচীর সঙ্গে বিজেপির রমরমা বেড়েছে। এমনকি সব্যসাচীর বাড়িতে গণেশ পুজোর অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বদের। তাই তাঁরও বিজেপিতে যোগদান একেবারেই নিশ্চিত। তবে বাকি ছয় জন কারা। তাঁদের নাম জানতে কার্যত অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় নেই।উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা 14 জন। তাই আরও আটজন যুক্ত হলে 22 জন। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পাল্লা এটু হলেও ভারী হতে পারে তা বলাই যাচ্ছে।