গোপন ব্যালট শুধুই গিমিক! লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রার্থীপদ, অভিযোগ সরব তৃণমূলের একাংশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। বহু কল্পনা-জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনের (Panchayat Vote) দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক বিশৃঙ্খলার চিত্র উঠে আসছে গোটা রাজ্য থেকে।

আর এবার আরেক কাণ্ড! অর্থের বিনিময়ে নাকি বিক্রি হচ্ছে নির্বাচনের প্রার্থী! মোটা টাকা দিলে তবেই মিলবে প্রার্থীপদ। এই অভিযোগই এবার উঠে এল আলিপুরদুয়ারের কালচিনি (Kalchini) থেকে। ঘটনা কি? অভিযোগ, সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নাম তোলাতে গেলে তৃণমূলের (Trinamool Congress) কালচিনি অঞ্চল সভাপতি শঙ্কর কুজুরকে দিতে হবে ১ লক্ষ টাকা!

   

সবটা না দিতে পারলেও ৫০ হাজার দিয়েছেন এক তৃণমূল নেত্রী। তবে তাতেও নাম নেই তালিকায়। মোটা টাকা নেওয়া সত্ত্বেও ভোটের টিকিট তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ভোটের টিকিট না দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিযোগকারী তৃণমূল নেত্রী জুহি চৌধুরী।

তার কথায়, “টাকা নেওয়ার পরও কেন দেওয়া হবেনা টিকিট। যদি নাই দেবে তবে টাকা নিল কেন।” এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার কালচিনি মোদিলাইন ও কালচিনি স্টেশন লাইন এলাকায় তৃণমূল কালচিনি ব্লক কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভে নামেন শাসকদল তৃণমূলেরই একাংশ।

tmc bomb 8

যদি গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কালচিনির অভিযুক্ত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি শঙ্কর কুজুর। তার কথায়, “শেষ কথা বলবে দল ব্যক্তিগত স্বার্থের কোনও জায়গা নেই সেখানে। যদি প্রমান দেখাতে পারে যে আমি টাকা নিয়েছি তবু পদত্যাগ করবো।”

তবে ভোট পূর্বে এই ঘটনা সামনে আসতেই উঠছে হাজারো প্রশ্ন। যেখানে পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাচাইয়ের জন্য একেবারে বঙ্গ সফরে বেরিয়ে পড়লেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোপন ব্যালটে নেওয়া হল জনগণের পছন্দের প্রার্থীদের নাম, সেখানে টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ? তাহলে কি গোপন ব্যালট শুধুই গিমিক? এই সব প্রশ্নে তুঙ্গে চৰ্চা।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর