স্বামীর মান ভাঙাতে পঞ্চায়েত অফিসে স্ত্রী। মধুচক্রের অভিযোগে নন্দীগ্রামে বিক্ষোভ বিজেপির

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সংসারে দাম্পত্য কলহ, ওই আর কী! অশান্তির জেরে কথা বন্ধ কপোত-কপোতীর। তবে স্বামীর মান ভাঙাতে দেরী না করে অফিসে পৌঁছে গেলেন স্ত্রী। তবে এর পর ঘটল আরেক বিপত্তি। স্বামীর সাথে বসে পঞ্চায়েত অফিসে (Panchayat Office) মান-অভিমানের কথা বলছিলেন স্ত্রী। এমন সময়ই মধুচক্রের অভিযোগে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে স্থানীয় বিজেপি (BJP) কর্মীরা।

ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের (Nandigram) গোকুলনগর এলাকায়। স্বামী-স্ত্রীর কথোপকথনের সময় অফিস ঘেরাও করল বিজেপি বাহিনী। অভিযোগ ‘ভিতরে মধুচক্র চলছে।’ এরপরই এই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় পুলিশ। মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় তারা। ঘটনায় শোরগোল পরে গিয়েছে গোটা এলাকায়।

   

ঠিক কী ঘটেছিল? অভিযুক্ত যুবক পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের ১ ব্লকের গোকুলনগর পঞ্চায়েতের সচিব নীলকমল দাস। কর্মসূত্রে তিনি শান্তিপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে থাকেন। বেশ কয়েকদিন স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় ফোন ধরছিলেন না তিনি। এর পরেই স্বামীর মান ভাঙাতে মঙ্গলবার পঞ্চায়েত অফিসে পৌঁছে যান স্ত্রী। রাত ১০টা নাগাদ গোকুলনগরে পৌঁছে অফিসে গিয়ে কথা-বার্তা বলছিলেন স্বামীর সাথে। সেই সময় ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল দরজা। রাতে পঞ্চায়েত অফিসে আলো জ্বলতে দেখে অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। তাদের অভিযোগ করেন, তৃণমূলের মদতে পঞ্চায়েত অফিসে মধুচক্র চলছে। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শেষে পরদিন দুপুরে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ও ছবি দেখিয়ে মুক্তি পান মহিলা।

nandigram.

ঘটনার পর পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন অভিযুক্ত মহিলা। তিনি জানান, সারারাত তাকে নন্দীগ্রাম থানায় বসিয়ে রাখা হয়। জানা যায় , পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকার একমিনিটের মধ্যে স্ত্রীকে বাইরে বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন নীলকমলবাবু। জানিয়েছিলেন, “এখানে সমস্যা আছে। বাইরে যাও। বাইরে গিয়ে কথা বলছি।” এরপরেই তাদের ঘেরাও করেন বিজেপি কর্মীরা। বুধবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তৃণমূল-বিজেপির বচসা, হাতাহাতি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে ওই মহিলা। নিজের জেলে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা ভেবে গা শিউরে উঠেছে তার।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর