বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২০২৩ সালে রয়েছে মেঘালয় বিধানসভা (Meghalaya Elections 2023) নির্বাচন। এরই মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভরতের এই রাজ্যে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল তৃণমূল (Trinamool Congress)। মেঘালয়ের মোট ৬০টি আসনের নির্বাচনে অধিকাংশ কেন্দ্রেই লড়াই করবে বাংলার শাসক দল। ৫২টি আসনের প্রার্থীতালিকা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। মেঘালয়ে তৃণমূলের দায়িত্বে থাকা চার্লস পিংরোপ জানান, বাকি বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেও প্রার্থীদের নাম কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে দলের তরফ থেকে।
জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন মোট পাঁচজন মহিলা নেত্রী। এদিন তৃণমূলের মেঘালয় রাজ্য সভাপতি চার্লস পিংরোপ এবং মেঘালয় তৃণমূলের পরিষদীয় দলনেতা মুকুল সাংমা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। পিংরোপ বলেন, ‘অনেকগুলি দিক পর্যালোচনা করে এবং দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই তালিকা ঘোষণা করেছি আমরা।’
বুধবার যে ৫২টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে মুকুল সাংমা লড়বেন দুটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। সোঙ্গসক আসন, যেখান থেকে তিনি জিতে বিধায়ক হয়েছেন, এবং টিকরিকিল্লা বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও নির্বাচনে লড়বেন তিনি। মুকুল সাংমা এদিন জানান, ‘আমরা আশা করছি, মেঘালয়ের মানুষ রাজ্যের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার কথা ভাববেন। সাধারণ মানুষের দাবি দাওয়ার কথা নিয়ে আমরা সকলের কাছে পৌঁছে যাব।’
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর জাতীয় রাজনীতিতে ক্ষমতা বিস্তারে সচেষ্ট হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় নির্বাচনে লড়াই করেছে। গোয়াতেও প্রার্থী দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। মেঘালয়ে এর আগে নির্বাচনী লড়াইয়ে না নামলেও সংগঠন অনেকটাই বিস্তার করেছে তৃণমূল। মুকুল সাংমা সহ একাধিক বিধায়ক কংগ্রেসের হাত ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মেঘালয় সফরে যান। মেঘালয়ে ক্ষমতা এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো মহিলাদের জন্য মাসিক অনুদান সেখানেও চালু করার হবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়ে এসেছেন তিনি। পাহাড়ি রাজ্য থেকে যথেষ্ট সাড়া পেয়েছেন বলেই দাবি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের।