পঞ্চায়েতেও তিহাড়েই কেষ্ট! ৪ মাস পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি, আপাতত ঘানি টেনেই কাটবে জীবন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গত বছর থেকে জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বর্তমানে বাংলার সীমানা পেরিয়ে দিল্লির তিহাড়ে ঠাঁই হয়েছে তার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি কেষ্টকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে শোনা যাচ্ছে শারীরিকভাবে ভালো নেই তিনি। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন অনুব্রত। এবার শারীরিক সমস্যার সাথে বেশ কিছুটা মানসিক সমস্যাও বাড়তে পারে অনুব্রতর। কেন?

বুধবার দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। সূত্রের খবর, এদিন বিচারক দীনেশ শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি (Hearing) প্রায় ৪ মাস পিছিয়ে দিয়েছে। যার মানে গিয়ে দাঁড়ালো আপাতত বেশ কিছু মাস তিহাড়েই জেলের ঘানি টেনে দিন কাটাতে হবে ‘বীরভূমের বাঘ’ তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডলকে।

সূত্রের খবর, এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারক ইডি-র কাছে কেষ্টর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করার কারণ জানতে চান। আদালতে ইডির আইনজীবী জানান অনুব্রতকে বহুদিন থেকেই নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছিল। কিন্তু তার তরফে একের পর এক মামলা করায় নিজেদের হেফাজতে নিতে তাদের অনেকটা সময় চলে যায়।

ডিরেক্টরেটের পাল্টা অনুব্রতর আইনজীবী আদালতে জানান, তার মক্কেলকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার কারণ স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি এখনও তার বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিটও জমা দেওয়া হয়নি। এরপর ফের ইডি তরফে আদালতে অনুব্রতকে হেফাজতে নেওয়ার স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়।

anubrata jail

দুপক্ষের কথা শুনে অনুব্রতর সব মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৭ জুলাই ধার্য করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডল আসানসোলে ফেরার আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিল। তবে আদালত জানিয়ে দিল আপাতত চার মাস দিল্লিতেই থাকতে হবে তাকে। উল্লেখ্য, শুধু অনুব্রতই নয়, বর্তমানে তিহাড়েই রয়েছেন গরু পাচার মামলার ওপর দুই অভিযুক্ত এনামুল হক, অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সয়গাল হোসেন। সম্প্রতি ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে অনুব্রতর হিসেবরক্ষক কোঠারীও।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর