বাংলা হান্ট ডেস্ক: দিনদিন রাজনৈতিক পরিবেশ আরও বিঘ্নিত হচ্ছে বাংলায়। প্রতিনিয়ত লেগেই রয়েছে মারামারি-কাটাকাটি, এমনকি বোমাতঙ্কের ঘটনা পর্যন্তও। প্রতিনিয়ত এমন বিভিন্ন ঘটনা দেখতে-শুনতে ও পড়তে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যবাসী। সকলেরই সমানভাবে একটাই দাবি একটাই দাবি ‘শান্ত ও সুশীল পরিবেশ’, যেখানে থাকবে না কোন রাজনৈতিক দাঙ্গা-হাঙ্গামা, যার জেরে ভুগতে হবে না সাধারণ মানুষকে।
প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। সম্প্রতি দলের মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার প্রতিবাদ জানানোর জন্য একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল BJP৷ কিন্তু অভিযোগ উঠেছে যে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ইচ্ছাকৃতভাবে সেই মিছিলে হামলা চালায়৷ ঘটনাচক্রে জখম হয়েছেন আটজন, তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে এলাকার চতুর্দিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থা যার কারণে যে কোনো রকম হৈ হট্টগোল আটকানোর জন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ ঘুটিয়ারি শরিফে ঘটেছে ঘটনাটি৷
প্রসঙ্গত, শনিবার BJP-র মণ্ডল সভাপতি দলীয় বৈঠক সেরে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন৷ এই সময় হঠাৎই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায়৷ এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাতে গতকাল ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশন থেকে একটি মিছিল বের করা হয় BJPর তরফ থেকে৷ অভিযোগ উঠেছে যে, মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হঠাৎই সেখানে হামলা চালায়৷ এমনকি পুলিশের সামনেই উইকেট, লাঠি, বাঁশ, শাবল দিয়ে BJP নেতা-কর্মীদের বেধড়ক মারধর করেন তারা৷ ঘটনাচক্রে BJP-র স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি দিলীপ বিশ্বাস সহ আটজন গুরুতর জখম হন৷ এরপর তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে ঘুটিয়ারি শরিফ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়৷ এরপরে তাদের দু’জনকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
এই ঘটনায় তাজ মহম্মদ হালদার নামে এক BJP কর্মী অভিযোগ জানিয়েছেন, “তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান আবু হাসেম সর্দার, মুন্না জওয়ান, আরাফুদ্দিন জওয়ান ও লালবাবুর নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা৷” শুধু তাই নয় তিনি আরো অভিযোগ তুলেছেন যে পুলিশি তৎপরতার মধ্যেও কিভাবে হামলা চালাতে পারে দুষ্কৃতীরা?৷ জখম শংকর নস্করের অভিযোগ জানিয়েছেন, ” এই ঘটনায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিল পুলিশ৷ পরিস্থিতি সামলানোর কোন রকম ব্যবস্থা নেননি তারা৷ উলটে দুষ্কৃতীদের সাহায্য করেছে৷” যদিও এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি পুলিশ৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷