বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনার ঘা এখনও দগদগে! গত শুক্রবার বালেশ্বরের (Balasore) কাছে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express) ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ২৮০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০০। কার বা কিসের ভুলে ঘটে গেল এত বড় দুর্ঘটনা! এই নিয়েই যখন হাজারো প্রশ্ন, ঠিক সেই পরিস্থিতিতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, এই দুর্ঘটনার (Odisha Train Crash Tragedy) নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)।
ঠিক কি অভিযোগ বিরোধী দলনেতার? সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বালাসোরের দুর্ঘটনা নিয়ে সরব হন শুভেন্দু। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “পুরো ঘটনার পিছনে তৃণমূল রয়েছে। তৃণমূলে ষড়যন্ত্রটাকে চিহ্নিত করতে হবে। ওঁরা কাল রাত থেকে এত ভয় পাচ্ছে কেন? ঘটনাস্থল তো ওড়িশা।”
কেন ঘটল এত বড় রেল দুর্ঘটনা, এই কারণ খুঁজে বের করতে সিবিআই তদন্তের কথা বলেছে রেলমন্ত্রক। তবে এই নিয়ে আবার তৃণমূলের অভিযোগ, নিজেদের দোষ ঢাকতেই সিবিআই তদন্তের ওপর ভরসা বিজেপির। অন্যদিকে, এই অভিযোগে পাল্টা শুভেন্দুর দাবি, “তৃণমূলের ষড়যন্ত্র ফাঁস করার জন্য সিবিআই তদন্ত।”
আবার এত বড় দুর্ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ শনিবারই দুই রেল আধিকারিকের কথোপকথন টুইট করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। যেখানে শোনা যাচ্ছে দুই রেল আধিকারিক কোনও গন্ডগোল হয়ে গিয়েছে। তবে সেই অডিও কোথা থেকে এল? শুভেন্দুর আশঙ্কা তাহলে কী কলকাতা পুলিশ কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের ফোনে আঁড়ি পাতছে?
এই অডিও প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর মত, “এই অডিও কোথা থেকে এল, তা তদন্ত করে দেখার জন্য সিবিআইয়ের কাছে আরজি জানাব। এটা যে কত বড় দুর্নীতি, তা প্রমাণ হয়ে যাবে।” তবে শুভেন্দুর এই সব মারাত্মক অভিযোগের পর মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেনি তৃণমূলও।
শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পাল্টা কুণাল ঘোষ বলেন, “আমি কুণাল ঘোষ, আমি পোস্ট করেছি, ভাববাচ্যে কথা কেন? আমার নাম নিয়ে বলুক। তারপর দেখাচ্ছি মানহানির মামলা কাকে বলে।” সবমিলিয়ে বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়েও এ রাজ্যে অব্যাহত শাসক-বিরোধী তরজা।