বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরু বাঁধার জায়গা নিয়ে বচসার জেরে রণক্ষেত্র বড়জোড়ার তাজপুর গ্রাম। দুপক্ষের হাতাহাতিতে আহত প্রায় ১২ জন। গুরুতর আহতদের বাঁকুড়ার বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
জানা যাচ্ছে, সোমবার বড়জোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তাজপুর গ্রামের একটি জায়গায় গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে বচসা লাগে দুই গোষ্ঠীর। একপক্ষ পুকুরপাড়ে ওই জায়গাটিতে জ্বালানি কাঠ রাখতেন। অন্য পক্ষ সেখানে গরু বাঁধলে তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। এই বচসাই অল্পক্ষণের মধ্যে হাতাহাতির রূপ নেয়। বড়সড় এই সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বড়জোড়া থানার পুলিশ।
এই সংঘর্ষে আহত হন দুপক্ষের প্রায় ১২ জন। যাদের মধ্যে একাধিক তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মী রয়েছেন বলেই খবর। পুলিশ গিয়ে খানিক নিয়ন্ত্রনে আনে পরিস্থিতি। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে। এদের মধ্যে ৪ জনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে।
আহত মোরসেলেম শেখ বলেন, ‘যখন সেখানে ঝামেলা হয় তখন আমি ছিলামই না। কিন্তু পরে যখন সেখানে যাই তখন হামলা করা হয় আমার উপর। বিজেপির দুষ্কৃতীরা খুন করার চক্রান্ত করেছিল আমাকে’। বিজেপির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন নূর আলি শেখ নামে অপর এক ব্যক্তিও।
অন্যদিকে, অপর পক্ষের হানিফ মনফলের দাবি, ‘জায়গা নিয়ে ঠেলাঠেলি করে পার্টির লোকজন এসে মারপিট করেছে। পুকুরের একদিকে কাঠা রাখা হয়, অন্যদিকে গরুর খাবার জায়গা। সেই নিয়েই ঝামেলা বাঁধিয়ে মারা হয় আমার পরিবারের লোকজনদের।’ তাঁর ছেলে বিজেপি কর্মী বলেই জানান হানিফ। সেই কারণেই তাঁদের আক্রমণ করা হয়েছে বলেই দাবি তাঁর। সরাসরি তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের তীর রেখেছেন তিনি।
ঘটনার খবর পেয়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছান বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, ‘ ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের উপর অত্যাচার হয়েছে। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে। তৃণমূল এবং বিজেপির দুই সংখ্যালঘু পরিবারের মধ্যে বারবার ঝামেলা হচ্ছে। ব্যাপারটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হোক’।
ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এলাকার শান্তি বজায় রাখতে নজর রাখছে পুলিশ। পুরো ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। এখনও অবধি কোনো তরফেই কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি থানায়।