বাংলাহান্ট ডেস্ক : রণক্ষেত্র পুর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর। শনিবার বিজেপির দলীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তৃণমূল এবং বিজেপির দুপক্ষের বচসা অচিরেই হাতাহাতির রূপ নেয়। ঘটনার জেরে গুরুতর আহত হয়েছেন তৃণমূল এবং বিজেপি দুপক্ষেরই অন্তত ৬ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে নামানো হয় র্যাফ। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের বিশাল বাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতেতেই ওই স্থানে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই রণক্ষেত্রে দাঁড়িয়েই শাসক দলের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়তে দেখা যায় তাঁকে।
ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে ভূপতিনগরে একটি কর্মসূচির আয়োজন করে বিজেপি। সেখানে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। একই সঙ্গে বজরংবলি মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার কথাও ছিল তাঁর। সেই সময়েই বচসা শুরু হয় তৃণমূল এবং বিজেপি দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে। গুরুতর আহত হন দুপক্ষের ৬ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান অম্বিকেশ মান্নাকে।
বিজেপির অভিযোগ, এদিনের সভায় আসার গাড়িগুলিকে ইচ্ছাকৃত ভাবে আটকায় তৃণমূল। সেখানে পালটা প্রতিবাদ করতে গিয়েই শুরু হয় দু তরফের ঝামেলা। বলাই বাহুল্য এহেন ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দলীয় কর্মীদের উদ্দ্যেশ্য করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, এদের পতনের সময় চলে এসেছে। যেভাবে পুলিশকে অপব্যবহার করা হচ্ছে তাতে ২৪ সালে এদের জমানা খতম হয়ে যাবে। নবান্নে উড়বে গেরুয়া পতাকা। একদিন বাড়িতে থাকার পর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পুলিশ তাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা আদালতে যাব। বৃহত্তর আন্দোলনে নেমে এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।’
এদিন ভূপতিনগরের ঘটনাস্থল থেকে শাসকদলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আবারও আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন একই সঙ্গে করার দাবিও তোলেন তিনি। ভূপতিনগরের ওই সভাস্থলে দাঁড়িয়েই বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমি এখানে বলে দিয়ে যাচ্ছি, যেভাবে পুলিশকে দিয়ে অপকর্ম করানো হচ্ছে তাতে চব্বিশে একই সঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের নির্বাচব হবে। ফল প্রকাশের পর নবান্নে গেরুয়া পতাকাই উড়বে।’