বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাত পোহালেই প্রকাশিত হবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল। তার আগে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। রাজনৈতিক অশান্তির জেরে ভুগতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। রবিবার গভীর রাতে যেমন হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে TMC-র বিরুদ্ধে। তৃণমূল (Trinamool Congress) আশ্রিত প্রায় ৬০-৭০ জন দুষ্কৃতী এলাকায় ঢুকে ‘তাণ্ডব’ চালায় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালি থানার অধীন খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিতাই মোড় সংলগ্ন এলাকায়। গতকাল গভীর রাতে স্থানীয় TMC নেতা বিপ্লব বর্মণ, দেবজ্যোতি সান্যাল, দেবব্রত মণ্ডল, কৌশিক মণ্ডলের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এলাকায় ঢুকে পড়ে। এরপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা।
সেই সময় স্থানীয় দম্পতি সঞ্জীব মণ্ডল এবং পিয়ালি মণ্ডলকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ করলে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। এরপর রাতেই তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান মহিলারা।
আরও পড়ুনঃ কৃষ্ণনগর, তমলুক, কাঁথিতে এবার ‘খেলা হবে’! কে জিতবে বাজি? মাথা ঘুরিয়ে দেবে লেটেস্ট এক্সিট পোল
একদিকে TMC আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ‘তাণ্ডবে’র অভিযোগে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা বাপ্পা মণ্ডলের ওপর আবার BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। জানা যাচ্ছে, ভোটের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় হামলার মুখে পড়েন বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁ বিধানসভার TMC কর্মী বাপ্পা।
জানা যাচ্ছে, গতকাল রাতে বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ার দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন বাপ্পা। অভিযোগ, সেই সময় আচমকা BJP আশ্রিত দুষ্কৃতী এসে তাঁকে দোকান থেকে বের করে মারধর করতে শুরু করে। বাঁশ দিয়ে বাপ্পার মাথায় এলোপাথাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে ঘিরে ধরলে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালায়। এরপর এলাকাবাসীই ওই TMC কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ইতিমধ্যেই জয়ন্ত সর্দার এবং অচিন্ত্য সর্দার নামের দুই BJP শিবিরের কর্মীর বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাপ্পা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি TMC-র সক্রিয় কর্মী, দলের হয়ে প্রচার করি। আমার ওপর ওদের অনেকদিনের রাগ ছিল। সেই কারণে পরিকল্পনামাফিক আমায় খুনের চক্রান্ত করা হয়’। যদিও হাড়োয়ার BJP-র মণ্ডল সভাপতি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।