কাঁথিতে আজ অমিত শাহের (amit shah) পালটা সভা করছে তৃণমূল (tmc)। উপস্তিত থাকবেন ফিরহাদ হাকিম (firhad hakim) এবং সৌগত রায় (sougata roy)। এরই মধ্যে অশান্তি শুরু রামনগরে। বিজেপির অভিযোগ তাদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। হামলায় ৬ – ৭ জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলেও দাবি তাদের। এরপরেই তৃণমূলের অফিসে ইটবৃষ্টি শুরু করে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূলের পালটা অভিযোগ, বিজেপিই তাদের আক্রমণ করেছে।
গতকাল বিজেপির আর নয় অন্যায় কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রামনগর। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে এর বিরুদ্ধে রাতে পথ অবরোধ করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এরপর আজ সকালে মিছিলের আয়োজন করে বিজেপি। বিজেপি নেতা কর্মীদের অভিযোগ সেই মিছিলেও হামলা চালানো হয় শাসক দলের পক্ষ থেকে। এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটেছে, আহত আরো কয়েকজন। যদিও এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, একসপ্তাহও হয়নি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এই নিয়ে অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যদের কোনও বয়ান সামনে আসেনি। শিশির আর দিব্যেন্দু অধিকারী এখন কি করবেন সেই নিয়ে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। আর এরই মধ্যে আজ তৃণমূল কাঁথিতে সভার আয়োজন করেছে। সেই সভায় অধিকারী পরিবারের অবস্থান যাচাই করার জন্য ডাক দেওয়া হয়েছে কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকে। কিন্তু শিশির অধিকারী জানিয়েছেন যে তিনি সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তিনি জানিয়েছেন শারিরীক অসুস্থতার কারনে তিনি আসতে পারবেন না।
অন্যদিকে শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকলেও তার অভিযোগ তিনি এই সভায় ডাক পান নি৷ যদিও তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির দাবি, শিশির অধিকারীকে তিনি ফোন করে সভার ব্যাপারে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, এই সভা উপলক্ষে সারা এলাকা জুড়ে পোস্টার, হোর্ডিং পড়লেও সেই পোস্টারে অধিকারী পরিবারের একজন সদস্যও নেই। বেশিরভাগ পোস্টার হোর্ডিং এই রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। কিছু কিছুতে সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিমের ছবি। সব মিলিয়ে শাসকদল এই মুহুর্তে যেন ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাদের কাছে এই মুহুর্তে অধিকারী পরিবারের গুরুত্ব তেমন নেই।