স্নায়ুর অসুখে ভুগতে শুরু করে ছিলেন অভিনেতা তাপস পাল (Tapas paul)। সেই রোগ ভোগেই মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হল তাঁর। সিবিআই ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাপস পালকে গ্রেফতার করে। এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বরে । ভুবনেশ্বরে টানা ১৩ মাস বন্দি ছিলেন তার মধ্যে ১১ মাস ছিলেন হাসপাতালে।
রোজভ্যালিকাণ্ডে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে একথা সবার জানা । পাশাপাশি তার বিতর্কিত মন্তব্য পিছু ছাড়েনি তার বাকি জীবন। আর মরে গিয়েও যেন শান্তি পেলেন না তিনি। তার শেষ যাত্রায় মমতা বন্দ্যোপাদ্ধায় (Mamata Banerjee) বলেন এই মৃত্যুর জন্য নাকি দায়ি বিজেপি। এদিন তিনি বিজেপিকে নিশানা করে বলেন অনেক কথা । এদিন দিলিপ ঘোষ বলেন “তাপস পাল অসময়ে চলে গেলেন। ওকে দেখে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত।কারা রাজনীতি করছে। কারা ভাল মানুষকে খারাপ করছে, বোঝা দরকার “। নাম না বললেও দিলীপবাবুর ইঙ্গিত যে তৃণমূলের দিকে ছিলো সে আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মমতা বলেন যে এমনভাবে মানসিক অত্যাচার করার জন্য এর আগে দুজন মারা গেছেন তৃণমূলের । তাদের ওপর মানসিক অত্যাচারের পাশাপাশি দিনের পর দিন তাদের অপমান আর লাঞ্ছনা করা হয়েছে ।
এদিন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “তাপস পাল আলিপুরের বিধায়ক ছিলেন। ওর পর ওই কেন্দ্রে আমিও বিধায়ক হয়েছি। কিন্তু উনি কেন্দ্রীয় সরকারের বদলার নীতি নিতে পারলেন না” । বিজেপির চাপেই নাকি আহত এবং ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে তাপস , তাকে বার বার জিজ্ঞেস করেছে সিবিআই এমনটাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় ।