বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাঁকুড়া সফর শেষ করে সবে মাত্র রাজ্য ছেড়েছেন অমিত শাহ। এর মধ্যেই বিভীষণ হাঁসদার (Vivishan Hansda) বাড়িতে উপস্থিত হলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্যা সোনাই মুখার্জি। NGO-র নাম করে চাল, কাপড় ও কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন ওই পরিবারের হাতে।
২০২০ সালে সম্প্রতি বাঁকুড়া সফরে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছিলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভীষণ হাঁসদার (Vivishan Hansda) বাড়িতে। ঠিক একই ভাবে ২০১৭ সালে উত্তরবঙ্গ সফরে গীতা মাহালির বাড়িতেও আহার সেরে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০১৭ সালের ঠিক ৩ বছর পর ২০২০ সালের যে দিনে অমতি শাহ যেদিন আবারও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে বসে আহার গ্রহণ করছিলেন, ঠিক তাঁর উল্টোদিকে সেই উত্তরবঙ্গ সফরের গীতা মাহালির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের হোমগার্ডের চাকরীর নিয়োগপত্র।
তবে এবছর আর বেশি দেরী করেনি তৃণমূল শিবির। অমিত জি রাজ্য ছাড়তেই শনিবার বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্যা সোনাই মুখার্জি হাজির হলেন বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে। সঙ্গে নিয়ে গেলেন চাল, কাপড় ও কিছু আর্থিক সাহায্য। তবে সরাসরি নয়, NGO-র নাম করে সাহায্য করলেন বিভীষণকে। যা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।
তৃণমূলের তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে, বাংলার মানুষ এখানে অনেক শান্তিতে রয়েছে। বিজেপি শুধু শুধু অশান্তি পাকাতে চাইছে। অবশ্য এবিষয়ে তৃণমূল সদস্যা সোনাই মুখার্জি জানিয়েছেন, বিভীষণ হাঁসদার মেয়ে অসুস্থ থাকায় তাঁকে দেখতে, কিছু আর্থিক সাহায্য করতে এবং দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতেই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি।
এবিষয়ে পালটা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় পাল্টা বলেছেন, ‘আগে তো কেন্দ্রের পাঠানো চাল নিজেদের নামে বিলি করেছে তৃণমূল। অমিত শাহ সেখানে যাওয়ার আগে ওই পরিবারের কথা মনে ছিল না? অমিত জি সেখানে যাওয়ায় যদি তারা চাল ডাল পান, তাহলে পরের বার আরও বেশি বাড়িতে যেতে বলব’।