তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ছে তৃণমূল শিবির! তড়িঘড়ি কালীঘাটে বৈঠক ডাকলেন মমতা ব্যানার্জী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূল শিবিরে ভাঙ্গন তত বেশি চোখে পড়ছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) তাই তড়িঘড়ি দলের ভাঙ্গন রুখতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নিয়ে এক বৈঠকের ডাক দিলেন। শুক্রবার বিকেলেই কালীঘাটে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নিয়ে আলোচনায় বসবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, প্রশান্ত কিশোর প্রমুখরা।

নির্বাচনের পূর্বেই এবশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলের দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে বেসুরো গান গাইতে শুরু করেছেন অনেকেই। দলের বিরুদ্ধে, দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে, এমনকি তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের নামেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেক দলীয় শীর্ষ স্থানীয় নেতারাই। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, দিদির কথা শুনতে রাজী থাকলেও, তারা পিকের কথা শুনবেন না। দলে নতুন ছেলেরা এসে, তাদের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।

v n vbskhbssg

বর্তমানে আবার তৃণমূলের হেভি ওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী, ছাড়লেন মমতার ছত্রছায়া। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় প্রথমে রাজ্য সরকারের মন্ত্রীত্ব, তারপর নিরাপত্তা, সকল পদ ছেড়ে দেওয়ার পর বাকি থাকা বিধায়কের পদটুকুও ছেড়ে দিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রথম দিকে শুভেন্দু অনুগামীদের কোণঠাসা করলেও, এখন দেখা যাচ্ছে দলের বেশিরভাগ নেতা মন্ত্রীদের মধ্যেই দল ছাড়ার একটা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারীর পর আসানসোলের বিদায়ী মেয়র এবং পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি আচমকাই তৃণমূলের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। আবার কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল কুমার মণ্ডলও গিয়ে নাম লেখাতে পারেন গেরুয়া শিবিরে। তাই তড়িঘড়ি দল বাঁচানোর উদ্দেশ্যে কালীঘাটে শুক্রবার বিকেলে বৈঠকের ডাক দিলেন মমতা ব্যানার্জী।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর