বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে একাধিক রদবদল করেছেন মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। সংগঠনের ভিত্তি প্রস্তর আরও মজবুত করতে পরিবর্তিত হয়েছে একাধিক নিয়ম। এর মধ্যেই এলাকার ভিত্তিতে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব, এমনকি কাকে কবে পার্টি অফিসে আসতে হবে সে বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে ইতিমধ্যেই পাখির চোখ করেছে তৃণমূল।
মমতা ব্যানার্জিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিল্লি দরবারে পৌঁছে দিতে হলে বাংলার ৪২ টা আসনে দুর্দান্ত ফলাফল যে ভীষন জরুরী, এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আর তার জন্য এখন থেকেই দরকার ধীরে ধীরে ছক সাজানো। এর আগেই দলে এক ব্যক্তি এক পদ এই নিয়ম লাগু করেছেন দলনেত্রী। যার জেরে যুব সভাপতির পদ পেয়েছেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) এবং সেই পদ ছেড়ে তবেই সর্বভারতীয় সভাপতির পদ লাভ করেছেন অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee)।
কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল সংগঠনের পর এবার জেলা সভাপতির পদগুলিতেও বড়োসড়ো পরিবর্তন আনতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। গত ৫ জুন তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এমনটাই। এবার শোনা যাচ্ছে, পদ পরিবর্তনের তালিকা মোটামুটি তৈরি। আগামী সোম থেকে শনিবারের মধ্যেই নতুন জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল।
দলীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগের কোর কমিটির মিটিংয়ে জানানো হয়েছিল, এক মাসের মধ্যেই পরিবর্তিত হবে বেশকিছু পদ। আর তাই সম্ভবত জুলাই মাসের প্রথম থেকেই লাগু হতে চলেছে এই নতুন রণনীতি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, স্বপন দেবনাথ, পুলক রায়, সৌমেন মহাপাত্র প্রভৃতি অনেক নামই উঠে আসছে সামনে। যদিও পুরোটাই এখনো জল্পনা স্তরে, কারন তৃণমূল নেতৃত্ব এখনই এ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। তবে একুশে জুলাইয়ের সভার আগে যে বেশ কয়েকটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে তৃণমূল এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।