বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভিন রাজ্য ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এবার টিএমসি এবং এনসিপির জাতীয় দলের মর্যাদা বহাল থাকবে কি থাকবে না সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission) একটি পর্যালোচনা বৈঠকের (Meeting) আয়োজন করেছে। বৈঠকের পর সংশ্লিষ্ট পক্ষের কাছে লিখিত নোট চাওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ইসিআই (ECI) সূত্রে খবর, পোল প্যানেলের পর এনসিপি এবং টিএমসি জাতীয় দলের মর্যাদা ধরে রাখার মানদণ্ড পূরণ করে কিনা সেই বিষয়ে পর্যালোচনা শুরু করতেই এই বৈঠক। তবে এই বৈঠকের বিশেষ কোনো কারণ নেই, একটি সময়ের ব্যবধানে নিয়মিত ইসিআই এই বৈঠকের আয়োজন করে।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন। তার দাবি ছিল, জাতীয় দলের তকমা পেতে হলে যে শর্তগুলি মানতে হয়, তার কোনওটিই পালন করতে পারেনি বাংলার শাসকদল তৃণমূল। তাই জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়ায় দাবি তুলে টুইট করেছিলেন শুভেন্দু।
জাতীয় দলের তকমা বজায় রাখতে কী কী শর্ত মানতে হয়? নির্বাচনী প্রতীক আদেশ, ১৯৬৮ অনুসারে, একটি রাজনৈতিক দলকে চার বা তার বেশি রাজ্যের লোকসভা অথবা বিধানসভা ভোটের কমপক্ষে ছয় শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে। উপরন্তু, লোকসভায় এটির কমপক্ষে চারজন সদস্য থাকতে হবে। তবেই রাজনৈতিক দল হিসেবে সেই দলকে গ্রাহ্য করা হবে।
দ্বিতীয়ত, দলের কাছে মোট লোকসভা আসনের কমপক্ষে ২ শতাংশ থাকতে হবে এবং এর প্রার্থীদেরকে অন্ত্যত তিনটি আলাদা রাজ্য থেকে থাকতে হবে। আর তৃতীয়ত, দলকে অন্তত চারটি রাজ্যে রাজ্য দল হিসেবে স্বীকৃত হতে হবে। তবেই জাতীয় দলের তকমা বজায় থাকবে। জানিয়ে রাখি, জাতীয় দলের মর্যাদা সম্পন্ন দল বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অধিকারী। যেমন, গোটা রাজ্যে একটি সাধারণ দলীয় প্রতীক, পাবলিক ব্রডকাস্টারে নির্বাচনের সময় ফ্রি এয়ারটাইম, নয়াদিল্লিতে পার্টি অফিসের জন্য জায়গা পাওয়া ইত্যাদি সুবিধা জাতীয় দলগুলি পেয়ে থাকে।