বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ধুমধাম করে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্র। কিন্তু পারলেন না মনোনয়ন দিতে, ওনাকে খালি হাতেই ফিরতে হল। এই ঘটনায় হতাশ হন মিছিল করে যাওয়া তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
বলে দিই, এর আগে পুরুলিয়ার জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন বাতিল করেছিল কমিশন। উজ্জ্বলবাবু হলফনামায় ভুল তারিখ দেওয়ায় ওনার মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল। যদিও, কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আদালত প্রথমে উজ্জ্বলবাবুর মনোনয়ন বহাল রাখার নির্দেশিকা জারি করে, কিন্তু কমিশনের যুক্তি খতিয়ে দেখার পর কমিশনের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে মেনে নেয় আদালত। এরফলে জয়পুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
আর এবার মালদহের মানিকচকের তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্র মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না। জানা গিয়েছে যে, তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বুধবার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যান। কিন্তু হলফনামায় সাবিত্রী মিত্র নিজের স্বামীর পদবী ভুল লেখায় ওনার মনোনয়ন জমা পড়েনি। জানা গিয়েছে যে, সাবিত্রী মিত্র নিজের স্বামী স্বপন মিত্রর পদবে ভুলে মৈত্র লিখে ফেলেছিলেন। হেভিওয়েট প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারায় কর্মী-সমর্থকরা হতাশ হয়ে পড়েন।
আগামী ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল মালদহের ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। আর এরমধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্রর মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে মালদা জেলার তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ছিল। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা মিছিল করে সাবিত্রী মিত্রকে মালদা জেলার প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চরম হতাশ হন ঘাসফুলের কর্মীরা। আর এই হতাশার প্রধান কারণ ছিল, প্রার্থী দ্বারা হলফনামায় ভুল পদবী দাখিল করা। এছাড়াও প্রার্থীর কাছে প্রয়োজনীয় অনেক নথি ছিলনা বলে জানা যায়।
সমস্ত নথি হাতের কাছে না থাকায়, বারিত থেকে কাগজপত্র আনার চেষ্টা চালান তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্র। কিন্তু ওনার কাগজ আসতে আসতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় পেরিয়ে যায়। এরপর তৃণমূল প্রার্থীকে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হবে। এই ঘটনার তৃণমূল কর্মীরা ব্যাপক হতাশ হয়ে পড়েন।