বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল রাতের এক ঘটনার প্রেক্ষিতে SSKM এর বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ তুলে সরব কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (TMC MLA Madan Mitra)। টাকা ঢাললেই মিলবে চিকিৎসা, হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ তোলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। এবার হাসপাতাল নিয়ে মদন মিত্রের অভিযোগের পালটা চাঁচাছোলা জবাব দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)।
মদন মিত্রের রোগীর জন্য কোনও আলাদা সুবিধা থাকতে পারে না। ঠিক একথাই শোনা গেল চন্দ্রিমার গলায়। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভেন্টিলেটরে রোগীকে রাখতে গেলে আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করাতে হয়। সেই তালিকা অনুসারে রোগীরা সুযোগ পান। মদন মিত্র যে রোগী নিয়ে এসেছিলেন তাঁর নাম তালিকাভুক্ত ছিল না। রাত সওয়া ১২টা নাগাদ তিনি আমাকে ফোন করেন। কিন্তু তালিকায় নাম না থাকায় আমার কিছু করার ছিল না। কোনও রোগীকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আরেকজনকে ভর্তি করা সম্ভব নয়।”
নেত্রীর কথায়, “মদন মিত্র রোগী নিয়ে এসেছেন বলে তাকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া যায় না।” SSKM এর পাশে দাঁড়িয়েই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা যথাযথ পদক্ষেপ করেছেন।”প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় এসএসকেএম হাসপাতালেরই ল্যাব টেকনিশিয়ান শুভদীপ পাল নামে এক যুবক গুরুতর জখম হন। তাকে নিয়ে ভর্তি করাতে হাসপাতালে ছোটেন খোদ মদন মিত্র। তবে নেতার অভিযোগ, প্রায় ছ’ঘণ্টা অ্যাম্বুল্যান্সেই শুভদীপকে রেখে দিতে হয়। এরপর হাসপাতালে ঢোকার মুখেই পুলিশ এবং কর্মীদের সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বহু চেষ্টার পরও রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো যায়নি বলে অভিযোগ।
এরপরেই গোটা বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করে SSKM বয়কটেরও ডাক দেন তিনি। তার মুখে শোনা যায় সিপিএম বন্দনাও। বলেন, “এটা যদি সিপিএমের আমল হত, আমি এক মিনিটের মধ্যে এই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিতাম।”
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরেই মদন মিত্রের বাড়ি। একসময় SSKM হাসপাতালের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল তার হাতেই। তবে বর্তমানে সময় বদলেছে, তৃণমূলের হেভিওয়েটের লাইমলাইট থেকে অনেকটাই সরে গিয়েছেন বিধায়ক। আর এদিন মধ্য রাতে সেই SSKM-এই রোগী ভর্তি করতে না পারায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে মদন মিত্র। সেই কাটা ঘায়ে কিছুটা নুনের ছিটে জুড়লো মন্ত্রী চন্দ্রিমার প্রতিক্রিয়ায়। তাহলে কী এবার তৃণমূলে ব্রাত্য হলেন মদন? উঠছে প্রশ্ন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা