বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ভূপতিনগর কাণ্ড (Bhupatinagar Blast Case) নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। শুক্রবার রাতে ভূপতিনগর বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের হামলার মুখে পড়েন এনআইএ (NIA) আধিকারিকরা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, মহিলারা হামলা করেননি, বরং হামলা করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এবার এই ঘটনায় বিজেপি (BJP) ও এনআইএ-র ‘গোপন আঁতাতে’র দাবি তুলল জোড়াফুল শিবির।
রবিবার তৃণমূল (TMC) ভবনে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এমন দাবি করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, এনআইএ-র এসপি ধনরাম সিংয়ের বাড়িতে একটি বৈঠক করেছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আজ সাংবাদিক বৈঠকে একটি কাগজ দেখিয়ে কুণাল দাবি করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সির একজন এসপি র্যাঙ্কের আধিকারিকের বাড়ির ঠিকানা সেটি। গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় সেই ঠিকানায় প্রায় ঘণ্টাখানেক মতো ছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র।
SHOCKING EXPOSÉ
On March 26, BJP leader @JitendraAsansol met SP of NIA Dhan Ram Singh at his residence in New Town
In the meeting that lasted for 52 minutes, a major conspiracy was hatched against our leaders
Later, on April 6, this conspiracy was executed in… pic.twitter.com/9z69jDP7dz— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 7, 2024
এখানেই শেষ নয়! কুণালের দাবি, বিজেপি নেতা এনআইএ এসপি ধনরাম সিংয়ের হাতে তৃণমূল নেতাদের একটি তালিকা ধরিয়ে দেন। ভোটের আগেই তাঁদের গ্রেফতার করার কথাও বলেন জিতেন্দ্র। সেই সঙ্গেই এনআইএ আধিকারিকের হাতে একটি সাদা প্যাকেট ধরিয়ে দেন তিনি। সেই প্যাকেটের ভেতর টাকা রয়েছে কিনা সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখুন, দাবি তুলেছেন তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুনঃ ভাঙড়ে গোপন ‘আঁতাত’ ISF-TMC-র? নওশাদ প্রসঙ্গে ‘স্পিকটি নট’ শওকত, তাহলে কি ভোটের আগেই…
যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। ‘গোপন বৈঠকে’র দাবি আগেও তুলেছিলেন তিনি। পাশাপাশি এও বলেছিলেন, শনিবার তৃণমূলের কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। ঘটনাচক্রে গতকালই ভূপতিনগর বিস্ফোরণ মামলায় দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনআইএ।
কুণাল বলেন, ‘সেদিন জিতেন্দ্র আর কোথায় কোথায় ফোন করেছিলেন সেটা খতিয়ে দেখা হোক। ধনরামের মতো কিছু অফিসার বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে তদন্ত করছে। অবিলম্বে এমন অফিসারকে বাংলা থেকে সরাতে হবে’। এরপরেই ভিডিও ‘ফাঁসে’র হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘কেউ মানতে না চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিও ফাঁস করে দেব। এনআইএ এসপির বাড়িতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ঢুকছেন এটা দেখিয়ে দেব’।
এদিকে তৃণমূলের দাবির বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেতাও। জিতেন্দ্র বলেন, ‘আমার কোনও আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, এটা প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব’। একইসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল যদি এহেন অভিযোগ আনার জন্য ৭ দিনের মধ্যে ক্ষমা না চায় তাহলে মানহানির মামলা করব।