বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার অবস্থা গোটা রাজ্য জুড়ে। যেখানেই ‘মুশকিল আসান ‘ রূপে দিদির দূতরা যাচ্ছেন, সেখানেই পাল্টা নিজেরাই কোনো না কোনো সমস্যায় জড়িয়ে পড়ছেন। কোথাও চলছে বিক্ষোভ, কোথাও হচ্ছে মারামারি। এবার ফের সেই চিত্রই ধরা পড়ল দেগঙ্গার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kavach) কর্মসূচিতে। এদিন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সুজিত বসুর (Sujit Bose) সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর কর্মীরা।
ঠিক কী ঘটেছিল? এদিন ‘দিদির দূত’ হয়ে উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাথরঘাটা এলাকায় পৌঁছান মন্ত্রী সুজিত বসু। পাশাপাশি কর্মসূচীতে তাঁর সাথে ছিলেন, দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল, দলীয় কর্মী-সহ পুলিশ আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার সকালে চাকলার এক মন্দিরে পুজো দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি এলাকার একটি মসজিদেও যান তিঁনি। এরপর এলাকাবাসীর অভাব অনটনের কথা শোনেন তিঁনি।
এদিন স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে মন্ত্রী সহ বিধায়কের খাওয়ার কথা ছিল। তবে এখানেই ঘটে বিপত্তি। দেখা যায়, সেই কর্মীর বদলে ওপর এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে তাঁদের জন্য খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়। জানা যায়, এরপরই এই ইস্যু নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। কোথায় খাবেন দিদির দূতেরা! এই নিয়ে মন্ত্রী সুজিতবাবুর সামনেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুই গোষ্ঠীর কর্মীরা।
এরপরেই ঝামেলা রূপ নেয় হাতাহাতির। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিশবাহিনী। যদিও বাহিনী পৌঁছানোর আগেই পরিস্থিতি সামাল দেন মন্ত্রী। তবে এদিনের ঝামেলার কথা একেবারে অস্বীকার করেন দমকলমন্ত্রী। তিঁনি বলেন, ‘‘হাতাহাতি হয়েছে, এ কথা ঠিক নয়। একটু ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল। দু’টি গোষ্ঠীর ঝামেলা নয়। আমি মনে করি না, দলে কোনও গোষ্ঠী রয়েছে। আমার সকলের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক, কথাবার্তাও হয়। দুপুরে খাওয়ার সিডিউল অফিস থেকে পাঠিয়েছে। ওঁরা বলছে, আমাদের সিডিউলে খাওয়ার কথা ছিল। আমাদের কাছে যে সূচি ছিল, তা-ই মানা হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত এই প্রথম নয়, এর আগে গত সপ্তাহেই দত্তপুকুরে ‘দিদির দূত’ মন্ত্রী রথীন ঘোষের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে, দলের কর্মীর কাছে চড় খেতে হয়েছিল এক যুবককে। এবার ফের দেগঙ্গায় দিদির দূত কর্মসূচীতে মারামারির ঘটনা যেন দত্তপুকুরের কথাই স্মরণ করিয়ে দিল।