বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় দু’মাস পর গত শনিবার বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), কাজল শেখরা। এরপরেই জানা গেল, কঙ্কালীতলার অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কেষ্ট ‘ঘনিষ্ঠ নেতা মহম্মদ ওহিদ উদ্দিন ওরফে মামনকে।
অনুব্রত (Anubrata Mondal) ‘ঘনিষ্ঠ’ নেতাকে কেন সরানো হল?
তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ এবং ২০২৩ সালের ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছিল জোড়াফুল শিবির (Trinamool Congress)। ২০১৮ সাল থেকেই এই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মামন। এবার তাঁকেই অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। স্বাভাবিকভাবেই এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, উপপ্রধান হলেও পঞ্চায়েতের যাবতীয় কাজকর্ম দেখতেন কেষ্ট (Anubrata Mondal) ‘ঘনিষ্ঠ’ মামন। তবে বিগত কয়েক বছরে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনাতেও তাঁর নাম জড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শীত পড়তে না পড়তেই স্কুল বন্ধ! কতদিন ছুটি পাবে পড়ুয়ারা? বড় ঘোষণা সরকারের
মামনকে কঙ্কালীতলার অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরানো প্রসঙ্গে কাজল শেখ (Kajal Sheikh) বলেন, ‘বিগত দিনে রাজ্য নেতৃত্ব এক ব্যক্তি এক পদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। মামন উপপ্রধানের পাশাপাশি অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেই কারণে এক ব্যক্তি এক পদে থাকুক, এই আর্জি জানিয়ে আমি নানুর বিধানসভার পর্যবেক্ষক, নানুরের বিধায়ক, ব্লক সভাপতি এবং কোর কমিটিকে চিঠি দিয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী কোর কমিটি মামনকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তবে উপপ্রধান পদে তিনি বহাল থাকবেন’।
কাজলের মুখে ‘এক ব্যক্তি এক পদে’র কথা শোনা গেলেও, অনেকের মনেই মাথাচাড়া দিয়েছে অন্য প্রশ্ন! নেহাত এই কারণ নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে গোষ্ঠী-রাজনীতি? অনুব্রত (Anubrata Mondal) ‘ঘনিষ্ঠ’ হওয়ার কারণেই কি মামনকে কঙ্কালীতলার অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল? এই নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা।