বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শাসকদলের কাউন্সিলর (TMC Councillor) তিনি। নেত্রীর চাইতে তাকে জননেত্রী বলাটাই অধিক শ্রেয়। যার কথা বলছি, তিনি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় (Ananya Banerjee)। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি, ২০১৫ সালে তার প্রথম জয়। সেই থেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজ ছোট থেকে বড়, নিজের এলাকায় সবার মুখে চর্চিত তিনি। পাশাপাশি দীর্ঘদিন রাজ্য সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত অনন্যা।
যার সকাল শুরু হয় গরমে বাড়ির কলের জল না থাকা আর বর্ষায় রাস্তায় জল জমার সমস্যা নিয়ে, সারাদিন সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে ছুটে বেড়ান যিনি, তাকে দেখে কিন্তু অবশ্য তা বোঝার জো নেই। ২০০০-এ নেত্রীর মুকুটে ওঠে কলকাতা সুন্দরীর বিজয়িনীর পালক। নিজের নাচের স্কুল রয়েছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও সক্রিয় অংশ নিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি রাজর্ষি দে (Raajhorshee Dey) পরিচালিত ‘সাদা রঙের পৃথিবী’তে অভিনয় করেন অনন্যা। প্রথমবার ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রথম দিকে ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। আমি তো নায়িকাদের মতো নিজের যত্ন নিতে পারি না। সব কিছু সামলে সময় দিতে পারব তো? ”
তবে সমস্ত ভয়কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে বেনারসে গিয়ে পাকা অভিনেত্রীদের মতোই শ্যুট সেরে এসেছেন নেত্রী। রাজনীতি বেশি শক্ত না অভিনয়? এই প্রশ্নের উত্তরে খানিক হেসে অনন্যার জবাব, ‘‘দুটোই অনেক মানুষদের সঙ্গে মিলে করতে হয়। সেই অভ্যাস আগে থেকেই আমার ছিল। জনসংযোগ ভালই পারি। তাই অসুবিধে হয়নি। আর রাজর্ষি থেকে শুরু করে বাকিরা সবাই আমার খুব সহযোগিতা করেছেন। ফলে, সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে উৎরে গিয়েছি।’’
রাজর্ষির দের ছবি মানেই তাতে থাকে নিত্য চমক। এই ছবিতে অনন্যা একটি আশ্রমের মালকিন। তার কাছে এসেই বিধবারা ঠাঁই পায়। তবে তার চোখের আড়ালেই তারা পাচারও হয়ে যান। কী ভাবে এই ঘটনাটি ছলে সেই নিয়েই এই ছবি ‘সাদা রঙের পৃথিবী’।
পরবর্তীতেও কী বড় পর্দায় ফের দেখা যাবে অনন্যাকে? নেত্রীর জবাব, বাঘ এক বার রক্তের স্বাদ পেলে কী করে জানেন তো? আমারও ঠিক ওই অবস্থা। এক বার সময় বের করে অভিনয় করতে পেরেছি। আগামীতেও আর আটকাবে না।’’ নিজের এলাকা সামলে অভিনয়ের ময়দানেও যে তিনি সমান পারদর্শী এই প্রমানই দিলেন নেত্রী।