মারুতি গাড়ি নিয়ে সজোরে ধাক্কা দিয়ে খুনের চেষ্টা! গুরুতর আহত তৃণমূল কাউন্সিলর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিনকয়েক আগেই জোড়া কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। মাঝখানে পেরোয়নি দিন পনেরোও। তারই মধ্যে আবারও আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলর। তবে ঝালদা-পাণিহাটির পর এবার ঘটনাস্থল হুগলির তারকেশ্বর। অভিযোগ গাড়ি চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর রূপা সরকারকে।

তারকেশ্বর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রূপা সরকার। বুধবার দুপুর নাগাদ পুরসভায় একটি মিটিং সেরে ওয়ার্ড সভাপতি অশোক গাইনের বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাজিতপুর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় জোৎসম্ভু রেল গেটের কাছে একটি মারুতি ভ্যান আচমকা এসে ধাক্কা মারে তাঁদের। ধাক্কা মারার পরেই পালিয়ে যায় গাড়িটি।

সেই সজোরে ধাক্কায় বাইক থেকে ছিটকে পড়েন রূপা সরকার এবং অশোক গাইন। গুরুতর আহত অবস্থাতেই তাঁদের উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর দুজনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা।

কে বা কারা ছিল ওই গাড়িতে, তা দেখতে পাননি আক্রান্ত দুজনের কেউই। তবে অভিযোগের তীর বিরোধীদের দিকেই। ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রূপা সরকার জানিয়েছেন, ‘প্রতিদিনের মতোই পুরসভা থেকে বেরিয়ে ছিলাম। আমি বাইকে ছিলাম। হঠাৎ একটা মারুতি এসে ধাক্কা মারে আমায়। ছিটকে পড়ে যাই। তবে গাড়ির ভিতরে কে বা কারা ছিল তা জানতে পারিনি। কারণ তার আগেই গাড়িটি পালিয়ে যায়’।

বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন তারকেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম কুণ্ডুও। বিরোধীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাউন্সিলর ফিরছিলেন। সেই সময় একটি মারুতি গাড়ি ধাক্কা মেরেছে। আমাদের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। দু’জনই ভয়ঙ্কর ভাবে চোট পেয়েছেন। বুঝতে পারলাম না মারুতিটা কীভাবে মারল, কী করল! এখানেই শেষ নয়, পুরসভা থেকে বেরোনোর পরও গাড়িটি নাকি দাঁড়িয়ে ছিল। পুরোটাই পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে।’

ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে, এই আক্রমণের পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ কাজ করছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে সবই। একই সঙ্গে পরীক্ষা করা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও। স্বভাবতই এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর