অর্জুন ম্যাজিক! BJP-তে যোগ দিলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বউ, ভোটের আগেই ধস জোড়াফুলে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী মঙ্গলবার রাজ্যে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। তার আগে দলবদলের ধারা অব্যাহত। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-বিধায়ক ‘ফুলবদল’ করেছেন। কেউ বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে (Trinamool Congress) এসেছেন, কেউ আবার জোড়াফুল ছেড়ে বেছে নিয়েছেন পদ্ম। এবার তৃণমূল ছাড়লেন ভাটপাড়ার এক কাউন্সিলর।

আসন্ন নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) ব্যারাকপুর কেন্দ্রের দিকে নজর থাকবে অনেকের। এই আসনে প্রার্থী না করায় তৃণমূল ছেড়েছেন অর্জুন সিং। বিজেপির টিকিটে ব্যারাকপুর (Barrackpore) থেকে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এবার এই কেন্দ্রেই ‘জোর কা ঝটকা’ খেল জোড়াফুল শিবির। ভাটপাড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (Bhatpara Councilor) জ্যোতি পাণ্ডে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন। পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন তাঁর স্বামী প্রিয়াংশু পাণ্ডেও।

প্রিয়াংশুর পিতা ধনুষধারী পাণ্ডে এলাকায় পূজারী হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে প্রিয়াংশুদের (Priyangshu Pandey) বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন অর্জুন। বিজেপি প্রার্থী বলেছিলেন, ‘যুদ্ধে চাণক্যের দরকার। ছোট ভাই প্রিয়াংশুকে সঙ্গে নেব’। তখনই মনে হয়েছিল, প্রিয়াংশুর দলবদল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে রাজ্যে প্রথম দফার ভোটের আগে ‘ফুলবদল’ করলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন অভিষেক! ভোটের মুখেই শ্বেতপত্র প্রকাশ করল BJP, বিরাট কাহিনী ‘ফাঁস’

এদিন প্রিয়াংশু এবং জ্যোতি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ব্যারাকপুরের পদ্ম প্রার্থী অর্জুন বলেন, ‘অপেক্ষা করুন। ভোটের আগে আরও অনেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন’। তৃণমূল শিবির যদিও বিষয়টিকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ। স্থানীয় নেতৃত্বের কথায়, খাতায় কলমে দলের অংশ হলেও বরাবর অর্জুন ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত প্রিয়াংশু। তাই তিনি দল ছাড়ায় তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না।

barrackpore bjp candidate arjun singh

প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের মতো ২০২৪ লোকসভা ভোটেও অর্জুন সিংকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। পরিবর্তে আস্থা রাখা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের ওপর। জোড়াফুল শিবির প্রার্থী না করায় আগেরবারের মতো এবারও বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন। আগামী ২০ মে এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ব্যারাকপুরে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর