বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে রাজ্যে একের পর এক প্রকাশ্যে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ। একদিকে মহানগরীর রাজপথে চলছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের অনশন বিক্ষোভ, অন্যদিকে আদালতে চলছে একের পর এক মামলা। সেইমত শক্ত হাতে নিয়োগ দুর্নীতির লাগাম ধরেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের চাপের মুখে ভুয়ো শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করেছে পর্ষদ। এবার সেই তালিকা প্রকাশ হতেই শুরু আরেক কাহিনী। পর্ষদের ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councilor) নাম। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল সোনারপুরে (Sonarpur)।
কী জানা যাচ্ছে? পর্ষদের তরফে হাইকোর্টে জমা দেওয়া ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় রয়েছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুহেলী ঘোষের নাম। শাসক দলের কাউন্সিলর তিঁনি। ২০১২ সালে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পান কুহেলী। তবে সেই চাকরি বর্জন করে ২০১৮ সালে সোনারপুরের চৌহাটি হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসেবে চাকরিতে ঢুকেছিলেন তিঁনি। তাঁর নাম ভুয়ো তালিকায় প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পরে গিয়েছে গোটা এলাকায়।
এই বিষয়ে তৃণণূলের ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, কুহেলী শিক্ষিত ও ভালো মেয়ে। যদিও গোটা বিষয়টি জানি না। যদিও , এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি অভিযুক্ত শিক্ষিকা কুহেলী ঘোষ। তিঁনি জানান, আইনি পথেই বিষয়টির মোকাবিলা করবেন শিক্ষিকা।
তবে এই প্রসঙ্গে তৃণমূলকে বিধঁতে বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় করেনি রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এ বিষয়ে সিপিএম (CPM) নেতা সুজন চক্রবর্তী তৃণমূলকে রীতিমতো ধুইয়ে দিয়ে বলেন, শুধু কাউন্সিলর নন, মন্ত্রীর মেয়েও জড়িত। একসঙ্গে কালীঘাট ও নবান্নও রয়েছে। পাশাপাশি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য রঞ্জন বৈদ্যের অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে সবকিছুই ভুয়ো। ডাক্তার থেকে শিক্ষক সবাই এই ভুয়োর তালিকায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন চৌহাটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিঁনি জানান, সেই সময়ে যিনি টিচার ইনচার্জ ছিলেন তিনি সার্ভিস কমিশন থেকে আসা কুহেলী ঘোষের নামের সুপারিশ পত্র এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার যাচাই করেছিলেন। সেইমতই কুহেলীকে নিয়োগ করা হয়েছিল।