বাংলাহান্ট ডেস্ক: বঙ্গ রাজনীতিতে কার্যতই অহি নকুল সম্পর্ক বাম এবং তৃণমূল শিবিরের। এই দুই দলেরও যে কখনও জোট সম্ভব, তা কেউ কখনও ভাবতে পেরেছিল? কথায় বলে রাজনীতিতে কী না হয়! এবার সেরকমই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল বাংলা। দু তরফের সাধারণ শক্রু বিজেপিতে পরাস্ত করতে একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে গাঁট বন্ধন করল দুই দল।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩ নম্বর ব্লকের একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপিতে হারাতে স্থানীয় স্তরে জোট বাঁধে তৃণমূল এবং সিপিএম। যার জেরে ওই ভোটে কোনো মতেই মাথা গলাতে পারেনি বিজেপি। এমনকি বিজেপি নেতা ও কর্মীদের মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এই জোটের বিরুদ্ধে।
জানা যাচ্ছে, কাঁথি ৩ নম্বর ব্লকের নাচিন্দা ভাইটগড় সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচনে মোট তিনটি জোনের ৪৫টি আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। সেখানে এই ৪৫ টি আসনের মধ্যে সিপিএম ২২ টি এবং তৃণমূল ২৩টিতে প্রার্থী দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়, করা হয় মারধরও।
সমবায় সমিতির ওই নির্বাচনে কেন সবকটি আসনে প্রার্থী দিল না তৃণমূল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই জোট প্রসঙ্গে অবশ্য সিপিএম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা সমবায় সমিতি বাঁচাও কমিটির চেয়ারম্যান হিমাংশু দাস জানিয়েছেন, ‘এখানে তৃণমূল এবং সিপিএম ভোট করেছে একথা ঠিক নয়। সবকটি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিএম। তবে তৃণমূল কেন এমন করল তা আমি জানি না’।
যদিও উলটো সুর তৃণমূলের গলায়। সিপিএমের প্রতি যেন খানিক নরম হতেই দেখা গেল সমবায় সমিতির কর্তা তথা তৃণমূল নেতা অমৃতাংশু প্রধানকে। তাঁর দাবি, একই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দল বড় কথা নয়। সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সমবায়ীদের চিহ্নিত করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যেখানে রাজ্য স্তরের সিপিএম নেতৃত্ব দলীয় নেতাদের কার্যতই তৃণমূল এবং বিজেপির ছায়া মাড়াতে নিষেধ করছেন, সেখানে দুই দলের মধ্যে এহেন নরম সুরে উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, বিজেপির তোলা অভিযোগ স্বীকার করেনি কোনো দলই।