বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূলের বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী (Aditi Munshi) দেবরাজ চক্রবর্তীকে (Debraj Chakraborty) তলব করেছিল সিবিআই (CBI)। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার নোটিস পাঠিয়ে আজই তাকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সিবিআইয়ের তৃতীয় বার তলবে সাড়া দিলেন না দেবরাজ।
প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় বুধবার তৃণমূল বিধায়িকা অদিতির স্বামীকে নিজ়াম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা জানিয়ে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। সেই তলবে সাড়া না দিয়ে দেবরাজ জানিয়েছেন, ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে হাজিরা দিতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি সূত্র ধরে গত বছর নভেম্বর মাসে দেবরাজের দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তারপর তাকে দু’বার তলব করা হয়েছিল। দু’বারই হাজিরা দিয়েছিলেন দেবরাজ। প্রথম বার প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা টানা জেরা করা হয়েছিল এই তৃণমূল নেতাকে। দেবরাজ জানিয়েছিলেন, একশো বার ডাকলেও তিনি যাবেন। তবে এবার তিনি সাড়া দিলেন না। গত নভেম্বর মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একজোটে একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। সেই তালিকায় নাম ছিল তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীরও। এরপর জানুয়ারি মাসে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে পেশ করা সিবিআই এর রিপোর্টেও তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তীর নাম ছিল।
নভেম্বরেই দেবরাজের বাড়িতে প্রথম হানা দিয়েছিল সিবিআই। তার গায়িকা স্ত্রী তথা তৃণমূলের বিধায়ক অদিতি মুন্সির গানের স্কুলেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। টানা তল্লাশির পর সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, সেখান থেকে টেটের কয়েকটি মার্কশিট এবং বদলির আবেদনপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দেবরাজ প্রথম থেকেই সেই সব নথির সঙ্গে তার যোগ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ভোটের মধ্যে ফের বাংলায় অ্যাকশনে ED! এবার স্ক্যানারে কে? ফাঁস হতেই শোরগোল!
যদিও পাল্টা দেবরাজের দাবি ছিল যে সময় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ করা হচ্ছে, ওই সময় দলে তাঁর চাকরি দেওয়ার ক্ষমতাই ছিল না। সূত্রের খবর, এর আগে দুবার তলবে দেবরাজের থেকে কিছু নথি চেয়েছিল সিবিআই। সেগুলি তিনি ইতিমধ্যেই জমা করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে শেষ দফা লোকসভা নির্বাচনের দুদিন আগে দেবরাজকে ডেকে পাঠিয়েছিল এজেন্সি। তিনি জানিয়েছেন ভোটে ব্যস্ত থাকার কারণেই তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে ৪ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছেন দেবরাজ।