বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘হিন্দুদের এড়িয়ে চলুন’! এবার ভোটার তালিকা বিতর্কে ট্যুইট করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস দলের বুথকর্মীদের উপদেশ দিচ্ছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কীভাবে বাছাই করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকা তুলতে হবে’। এরপরই শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ২২ জেলায় পঞ্চায়েতে আসন পুনর্বিন্যাসের তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এখন খসড়া ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করছে কমিশন। এই কাজ চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে জানুয়ারিতে। সেই তালিকা দিয়েই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন।
কাদের নাম তুলতে হবে ভোটার তালিকায়?
দলের কর্মীদের বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস নির্দেশ দেন, ‘ নতুন লোক এলেও যাঁরা আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরই নাম তোলার চেষ্টা করবেন’! তিনি চাঞ্চল্যকর দাবি করে বলেন, ‘নতুন লোক মানে বুঝতেই পারছেন সব বাংলাদেশ থেকে আসছে। তাঁদের ভোট বেশি তুললে আরও ক্ষতি। কারণ, তাঁরা তো হিন্দু হিন্দু করে বেশিটাই ভোট দিয়ে দেয় বিজেপিকে’। এবার এই বিষয় নিয়ে পালটা ট্যুইট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এর আগে, পঞ্চায়েতে আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা বাতিলের দাবিতে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, ‘তৃণমূলের ব্লকের নেতারা, যাঁরা একশো দিনের টাকা চুরি করেছে, সীমাহীন কাটমানি, তোলাবাজি, সিন্ডিকেটের সৃষ্টিকর্তা যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে বসে বিডিওরা এই কাজ করছে। বেআইনি ভাবে তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়ার লাইসেন্স করে দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন’। প্রসঙ্গত ১৮ই অক্টোবর ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ‘রিজার্ভেশন রোস্টার’ প্রকাশ করে কমিশন। এরই সঙ্গে এসসি, এসটি ও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের খসড়া তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।