বাংলা হান্ট ডেস্ক: কে শোনে কার কথা। করোনা বিধি এখন শিকেয়। রাজ্যে ভোটের ফলাফলে তৃণমূলের জয় একপ্রকার নিশ্চিত হতেই সবুজ আবিরে মেতেছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূল ২০৭ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৮২ টি আসনে। সংযুক্ত মোর্চা ২ টি আসনে এবং অন্যান্যরা এগিয়ে রয়েছে একটি আসনে। ফলে বিশাল ব্যবধানে তৃণমূল যে জয়ের দোড়গোড়ায় পৌছে গিয়েছে তা স্পষ্ট। নন্দীগ্রামে কাঁটে কা টক্করে এগিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এটা স্পষ্ট যে, নির্বাচনের মুখে মুখে শুভেন্দুর দলবদলের ফলে তৃণমূল পূর্ব মেদিনীপুরে বড় ধাক্কা খাবে বলে বিভিন্ন মহল থেকে যে দাবি উঠেছিল তা কার্যত জল্পনাই রয়ে গেল।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১ সালে তৃণমূল পেয়েছিল ভোট প্রাপ্তির হার ছিল ৩৯ শতাংশের কাছাকাছি। ২০১৬ সালে তা বেড়ে হয়েছিল প্রায় ৪৫ শতাংশ। এবার সেই সাফল্যকেও ছাপিয়ে যেকে পারে শাসক দল। অথচ, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এবার পরীক্ষাটা অনেক কঠিন ছিল তৃণমূলের সামনে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জোর ধাক্কা খেলেও তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৪৩ শতাংশের উপরে। বিজেপি পেয়েছিল ৪০.৬৪ শতাংশ ভোট।২০১১ এবং ২০১৬-র তুলনায় ভোট প্রাপ্তির হার এক াক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে নিতে চলেছে তৃণমূল। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবশ্যই স্বস্তি দেবে।