বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ ৪২ দিন জেলবন্দি থাকার পর গত সপ্তাহে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqi)। বহু টানাপোড়েন বহু জলঘোলার পর হাতে এসেছে এই জামিন। সেই লড়াইয়ের স্মৃতি একেবারে টাটকা। বিধায়ক নওশাদের গ্রেফতারিতে বারংবার আঙ্গুল উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে।
শুধু নওশাদই নয় তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়িয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলিও। আব্বাস সিদ্দিকীর মতো পীরজাদারাও বিধায়কের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। এবার সেই নওশাদকেই ‘ভাই’ সম্বোধন করলেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র তথা ফুরফুরার উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
ঠিক কী বললেন ফিরহাদ? বুধবার ফুরফুরা শরিফে গিয়ে ফিরহাদবাবু বলেন, ‘নওশাদ সম্মানীয় ব্যক্তি, নওশাদ আমার ভাই। আমরা আবু বক্কর সিদ্দিকীর মরিদ (ভক্ত), তার জন্যই লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে আসেন। তার যারা বংশধর সবাই আমাদের কাছে আদরের।’ পাশাপাশি ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নের জন্য নওশাদের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। ত্বহা হুজুরের’ সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নওশাদের গ্রেফতারির সময়, পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিলেন, শাসক দলের কোনও নেতা-মন্ত্রী ফুরফুরায় দেখা করতে গেলে তাতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। অন্যদিকে, নওশাদের মুক্তির দিন চারেক যেতে না যেতেই বুধবার ফুরফুরায় উপস্থিত ফিরহাদ হাকিম। ফুরফুরায় দেখা করতে যান বিধায়ক তপন দাশগুপ্তও।
আব্বাস সিদ্দিকীর করা এই মন্তব্য প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন ফিরহাদ। তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ বলেন, ‘যা হয়ে গিয়েছে, তা হয়ে গিয়েছে। এটা তো পুলিশ করেছে, আমরা তো করিনি। বাকিটা ওর ব্যাপার। আমরা সবাই দাদা হুজুরের মুরিদ। ওদের উচিত যারা দাদা হুজুরের মাজারে যারা যাবেন, তাদের আলিঙ্গন করা। আমি তো সবাইকে সম্মান করি।’
এই বিষয়ে বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারও ক্ষোভ থাকতে পারে। কিন্তু যখন উন্নয়ন হবে, তখন কারও ক্ষোভ থাকে না। আর যারা নিন্দা করার তারা করবে, তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করব। যেটা ববি হাকিম শুরু করেছেন, তার বাকি কাজ আমি শেষ করব।’