বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার নারদ মামলায় (Narada Scam Case) আদালতে হাজিরা দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee), বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এবং কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। এদিন সকালেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পৌঁছে যান তিন অভিযুক্ত। আর তিন নেতার মুখেই উঠে এল ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব।
‘চক্রান্ত করা হচ্ছে’
এদিন আদালতে হাজির হয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বলি বা না বলি, মানুষের একটা ধারনাই তৈরি হয়ে গিয়েছে যে এভাবে আসলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। তাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে অ্যাকশন, উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ! একের পর এক TMC কাউন্সিলর, বিধায়কের বাড়িতে CBI হানা
প্রাক্তন মেয়র আরও বলেন, গোটা দেশ জুড়েই এখন একই ঘটনা ঘটছে। শোভনের সুরে সুর মিলিয়ে বর্তমান মেয়র ববি হাকিমও একই অভিযোগ তোলেন। তিনিও বলেন, কোনও প্রমাণ ছাড়াই দিনের পর দিন এই মামলার তদন্ত চলছে।
আগে কি হয়েছিল?
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election of 2021) আগে সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের (Journalist Matthew Samuel) স্টিং অপরারেশন এক প্রকার নাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলার শাসক শিবিরের একাধিক প্রথমসারির নেতাদের। তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি।
নারদ স্টিং মামলায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল ফিরহাদ, মদনদের উপর। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, হাত পেতে নগদ টাকা নিচ্ছেন ওই নেতারা। সেই ভিডিও সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। এরপরই তদন্তে নামে সিবিআই।
পরে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর গ্রেফতার করা হয় ফিরহাদ, মদন, শোভন-সহ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। যদিও জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তারা। তবে জামিন পেলেও আদালতের নির্দেশ মত নির্দিষ্ট সময় অন্তর হাজিরা দিতে হয় তাদের।