বাংলা হান্ট ডেস্ক: নৈহাটি পুরসভার রং বদল হয়েছে সম্প্রতি, আজ এই পুরসভার আস্থাভোটে একজন বিজেপি কাউন্সিলর উপস্থিত না থাকা ও ভোট ব্যবস্থা থেকে বিরত থাকার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ব্যারাকপুরের সংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “অপেক্ষা করে যান আর মাত্র ৫ মাস পরই পুরনির্বাচন। তখনই এই সবকিছুর আসল ছবিটা সবার সামনে ফুটে উঠবে। এখন তো পুলিস দিয়ে, ভয় দেখিয়ে বোর্ড দখল করেছে তৃণমূল। একারণেই নৈহাটি পুরসভার আস্থা ভোটে অংশ নেয়নি বিজেপি। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত।”
উল্লেখ্য, ৩১ জন কাউন্সিলর নিয়ে নৈহাটি পুরসভার ৩৩টি আসন নিজেদের দখলে রেখেছিল তৃণমূল। কিন্তু লোকসভা ভোটের পর থেকেই এই পরিস্থিতির বদল ঘটে। ভোটের ফল সর্বসমক্ষে আসার পর তৃণমূলের সেই ৩১ জন কাউন্সিলরদের মধ্যে মধ্যে ১৮ জন কাউন্সিলরই তৃণমূল ত্যাগ করে যোগ দেয় বিজেপিতে। যার ফলে নৈহাটি পুরসভার ৩৩টি ওয়ার্ডের ছবিটা একেবারে বদলে যায়, ঘটনাচক্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল। উল্টো দিকে আরো জোরালো হয় বিজেপির বোর্ড দখলের সম্ভাবনা।
বর্তমানে বাংলার রাজনীতি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ধারা পাল্টায়। সব সময়ই বিভিন্ন চমকের সাথে সরগরম থেকে রাজনৈতিক মহল। এক্ষেত্রেও নৈহাটি পুরসভার দলত্যাগী ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলর এর মধ্যে ১০ জন কয়েকদিনের মধ্যেই ফের নিজেদের পুরনো দলে ফিরে আসে গেরুয়া শিবির ছেড়ে। এরপর তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করে যে দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ জন কাউন্সিলর বিজেপি থেকে ফেরত এসেছেন। ফলে নৈহাটি পুরসভায় তাদের কাউন্সিলর সংখ্যা ২৬ বলে দাবি করে তৃণমূল।
শেষমেষ আজ আস্থা ভোট ছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে আজ বারাসতে জেলাশাসকর দফতরে ভোটাভুটি হয়। এই ভোটাভুটির ফল সামনে আসতেই দেখা যায় ২৪ জন কাউন্সিলর তৃণমূলের হয়ে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে একজন কেউ ভোট দেননি বিজেপিতে। যারফলে ৩৩ ওয়ার্ডের নৈহাটি পুরবোর্ড ২৪-০-এ পুনর্দখল করল তৃণমূল।