এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বর্তমানে বিতর্ক ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এবার বিতর্ক মাঝে এক বড় পদক্ষেপ নিলো রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, গ্রুপ ডি ও নবম-দশম ক্লাসের ভুয়ো নিয়োগপত্র পাওয়া সকল শিক্ষক পদ বাতিল করতে চলেছে সরকার। সেই স্থানে আবার নতুন করে শিক্ষক পদে নিয়োগ পদ্ধতি শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশে এই প্রক্রিয়া করণ শুরু হতে চলেছে। এক্ষেত্রে যাতে কোনো আইনি জটিলতা দেখা না দেয়, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে সরকার। শিক্ষা দফতরকে আগামী তিনদিনের ভিতর নতুন নিয়োগপত্র প্রদান বিষয়ক একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগের মাধ্যমে সরকার নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করার প্রচেষ্টা করছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে আগামী 13 ই মে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দ কুমার মুখার্জির ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি দুর্নীতি মানলার শুনানির আগে রাজ্যের এই পদক্ষেপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরে রাজ্যের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে। অতীতে এই দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে দায়িত্ব দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে একাধিক নতুন তথ্য। আর এরই মাঝে এসএসসির আর্থিক দুর্নীতির দিকটি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তে নামে ইডি দপ্তর।
রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা বহু পরিমাণ অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে অনুমান করে সিবিআই আর সেই লেনদেনের ব্যাপারে খোঁজ চালানোর জন্য তাদের পাশাপাশি তদন্তে নামে ইডি।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারা সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করে আদালতে যেখানে ধরা পড়ে একাধিক দুর্নীতির তথ্য। এরপর দুর্নীতি মামলা কাণ্ডে সন্দেহের কারণে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও ডেকে পাঠানো হয় সিবিআই দপ্তর থেকে। তবে অবশেষে আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে রেহাই পান তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা। তবে বর্তমানে সই জাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন তথ্য ডিলিট করার মতো একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে আর এরমাঝে রাজ্য সরকারের নতুন নিয়োগ পদ্ধতি যে কতটা সফল হবে, সেদিকেই চোখ সকলের।