বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় উৎসব এবং মেলার পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হলেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) কি কারণে বৃদ্ধি করা হচ্ছে না, এই প্রশ্ন সামনে এনে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। শুধু তাই নয়, গত ২০ শে মে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পরবর্তীতে সেই রায়কে পুনর্বিবেচনা করার আর্জি খারিজ করে আদালত আর অবশেষে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলো রাজ্য সরকার।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি ইস্যু থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক মামলায় কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সরকারি কর্মচারীদের ডিএ কেন বৃদ্ধি করা হচ্ছে না, সে বিষয়ে বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি কর্মচারী সংগঠনগুলিও বিরোধ প্রদর্শন করে চলেছে। এক্ষেত্রে গত মে মাসে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ভাতা দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
এক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের কর্মচারীরা যে হারে DA পান, রাজ্য সরকারকেও সেই হারে মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে বলে জানায় আদালত। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে এই রায় পুনর্বিবেচনার দাবি তুলে মামলা করে রাজ্য সরকার। তবে তাদের সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। এমনকি এক্ষেত্রে সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার প্রসঙ্গ পর্যন্ত সামনে আনা হয় আর এবার কোন রাস্তা খোলা না থাকায় অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নিকট উপস্থিত হল তৃণমূল সরকার।
এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয়েছে, “এই মুহূর্তে রাজ্যের যা পরিস্থিতি, সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায়কে যদি বাস্তবায়িত করতে হয়, তাহলে তা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা যে হারে ডিএ পাচ্ছেন, তাদেরকে আরো অনেক বেশি হারে ভাতা প্রদান করতে হবে আর যা করতে গেলে আর্থিক বিপর্যয় পর্যন্ত ঘটতে পারে।”
একইসঙ্গে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, ডিএ মামলায় আদালত অবমাননা করা হয়নি। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত হয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করা কখনোই সম্ভব নয়। যেভাবে রাজ্যে আর্থিক অনটন চলছে, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ডিএ বাড়াতে গেলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় পর্যন্ত ঘটতে পারে। একইসঙ্গে উন্নয়নমূলক কাজগুলিও আর সম্ভব হয়ে উঠবে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের রায় কি হয়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।