বাংলাহান্ট ডেস্ক : পূর্ণ সময়ের মেয়াদ শেষ করতে পারবে না তৃতীয় তৃণমূল সরকার। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট ২০২৪ সালেই হবে বলে আবারও দাবি করে বসলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, চূড়ান্ত আর্থিক বিশৃঙ্খলার কারণেই রাজ্যে সরকারের পতন হবে সময়ের আগেই।
কী দাবি করছেন শুভেন্দু?
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক সঙ্কটের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু দাবি করেন এখন মহারাষ্ট্রে হচ্ছে, এরপর রাজস্থান এবং ঝাড়খণ্ডেও একই ঘটনা ঘটবে। আর তার পরই নাকি বাংলার পালা। এই বক্তব্যের পরই গেরুয়া থেকে সবুজ শিবিরে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শুভেন্দুই তাহলে ঝুলি থেকে বেড়াল বের করল!’ তৃণমূলের দাবি বিরোধী দলনেতার ওই বক্তব্যের মধ্যেই স্পষ্ট বিজেপি কিভাবে ষড়যন্ত্র করে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের কাছেও এই বিষয়ে অভিযোগ জানান তৃণমূল নেতারা। যদিও বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা পাল্টা সাফাই গান, মহারাষ্ট্রের ঘটনার আগেও বাঁকুড়ার সোনামুখী, উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর-সহ একাধিক জায়গায় শুভেন্দু এই আর্থিক অব্যবস্থার দোহাই দিয়ে সরকার পতনের দাবি করেছেন।
সরকারি কর্মীদের বেতনও দিতে পারবে না মমতা
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখকরের সঙ্গে বুধবার বিজেপির প্রতিনিধিদল দেখা করেন। এই সাক্ষাতের পরই শুভেন্দু বলেন, ‘আবারও একই কথা বলছি, ২০২৪ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হয়ে যাবে। কখন যে কী হয়ে যায়, কেই বা বলতে পারে!’ তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল সাংসদরা বিভিন্ন বিভাগের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে গিয়ে রাজ্যের জন্য টাকা চাইছেন। যে ভাবে ঋণ করে চালিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এফআরবিএম পার করে গিয়েছে। আর ঋণ পাবেন কোথা থেকে? কয়েক দিন পর থেকে তো সরকারি কর্মীদের বেতনও দিতে পারবেন না মমতার সরকার। ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাবে তখন!’ নন্দীগ্রামের বিধায়ক দাবি করেন, জাতীয় স্তরে তো তিনি কোনও ভূমিকা নিতে পারবেন না, বরং মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের রাজ্যে বসেই তাঁর সরকারের পতন দেখতে হবে।
‘জগদীপদার কোচিং-এর ফল’, বললেন কুণাল
রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও পাল্টা তোপ দাগেন শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, ‘এগুলো জগদীপদা’র কোচিং সেন্টারে ক্লাস করার ফল! রাজ্যে ২০২৪ সালে সরকার ফেলে দেওয়ার যে হুমকি শুভেন্দু দিচ্ছেন, আমরা তা নিয়ে রাজ্যপালকে অভিযোগ করেছিলাম। উনি দেখেছেন, বিপদ! তাই শুভেন্দুদের কোচিং করাচ্ছেন। ওঁরাও বাইরে বেরিয়ে সে সব বলছেন।’