বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। ভোটের নিঘন্ট এখনো ঘোষণা হয়নি ঠিকই। তবে ইতিমধ্যেই আটঘাট বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। পাখির চোখ ২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে যতই নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই প্রকাশ্যে আসছে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। এবার তৃণমূলের (Trinamool Congress) নতুন অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই বিক্ষোভে সামিল দলেরই কর্মীরা।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপালে। নতুন অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণার পরই উত্তাল হয়ে উঠল গোটা এলাকা। দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালালো দলেরই বিক্ষুব্ধরা। শুধু তাই নয়, স্থানীয় বিধায়কের কার্যালয়েও ভাঙচুর হয় বলে উঠছে অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে রবিবার বাঁকুড়ার তৃণমূল ভবনে দলের নতুন অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেন দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র। কিন্তু, তাতে দেখা যায় সিমলাপাল ব্লকের অঞ্চল সভাপতি পদে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। পূর্ব অঞ্চল সভাপতিদেরই পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। দলীয় নেতৃত্বের ওপর বিক্ষোভে সামিল হয় দলেরই একাংশ।
পরদিন সকাল হতেই অভিযোগ তুলে সিমলাপালের বিধায়ক কার্যালয়ে গিয়ে জড়ো হন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। এরপরেই ক্রমশ্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এমনকি বিধায়ক কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগও ওঠে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, “দলের যে সমস্ত অঞ্চল সভাপতিরা গত নির্বাচনে সংগঠনের কোনও কাজ করেননি এবং প্রচণ্ড দুর্নীতিগ্রস্থ তাঁদেরই আবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে”। এই অভিযোগ তুলেই দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে, বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি নিখিল চন্দ্র সিংহ মহাপাত্র জানান, “তাঁদের দলে ব্যক্তি কেউ নয়। তাই তৃণমূলের নামে যারা দলীয় কার্যলয়ে ভাঙচুর করেছে তারা দলের কেউ নয়। তারা দুষ্কৃতী। দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে”। সবমিলিয়ে অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।