বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর কয়েক মাসের ব্যবধানে গোটা বাংলা জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার পূর্বে একদিকে যখন দুর্নীতি ইস্যুতে সরগরম গোটা বাংলা, আবার অপরদিকে ভোটের আগে শাসক-বিরোধী দ্বন্দের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘিরেও বিতর্ক ক্রমাগত চরমে। বিতর্ক আরো উস্কে দিয়ে এবার তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি, এমনকি গুলি চালানোর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বাসন্তী (Basanti)এলাকায়।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল বাসন্তীর আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত বটতলী এলাকা। গতকাল বাসন্তীতে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদের কারণে বোমাবাজির পাশাপাশি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে শাসকদলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করার পাশাপাশি বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এলাকার দখল নিজেদের হাতে রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যার স্বামী গনেশ সরকার এবং স্থানীয় এক নেতা দিলীপ হালদারের মধ্যে বিবাদ বহুদিনের। পরবর্তীতে সেই বিবাদ আরো বৃহত্তর রূপ নেয় এবং অবশেষে গতকাল বোমাবাজি এবং গুলি পর্যন্ত চলে বলে অভিযোগ।
এক্ষেত্রে তৃণমূল কর্মী জাহির খানের অনুগামী এবং দিলীপ হালদারের লোকেদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে তা গুলি এবং বোমাবাজির ঘটনায় রূপান্তরিত হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গণেশ সরকার সহ মোট পাঁচজনকে আটক করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ। বোমাবাজির ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরবর্তীতে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে।
যদিও গতকালের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ থাকার সম্ভাবনাকে এক প্রকার উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। তিনি বলেন, “বোমাবাজির ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনরকম যোগ নেই ।এই ঘটনা বিজেপি, আইএসএফ এবং আরএসপি কর্মীরা ঘটিয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোন বিষয় নেই।”